পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনেও তৎপর ছিল আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অব্যাহত ছিল। প্রথমদিন থেকেই বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল। ঈদ আর লকডাউন মিলে রাজধানী এখনও ফাঁকা। তবে ‘জরুরি সেবা’সহ বিভিন্ন অজুহাতে ঢাকায় ঢুকেছে মানুষ ও গাড়ি। যদিও বিষয়গুলোর ‘বৈধতা’ যাচাই শেষে যানবাহন ও মানুষকে ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় দিনেও গতকাল রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। দু’চারটে রিকশা চলাচল করতে দেখা গেলেও সড়কে গাড়ির সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে পুলিশের তৎপরতা না থাকায় পাড়া মহল্লায় মানুষের আড্ডা দেখা গেছে। সকালে দোকান-পাটও খুলেছে।
গতকাল সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেখা গেছে, নানা অজুহাতে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল নিয়ে মানুষ ঢাকায় ঢুকছে। তবে ঢিলেঢালা লকডাউনের মতো পুলিশ কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া ঢাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগের যেকোনো লকডাউনের তুলনায় এবারের লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
রাজধানীর সড়কগুলোতে কিছু দূর পর পর দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। কোথাও পুলিশ দাঁড়িয়ে গাড়ি থামিয়ে চেক করছে। জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষজনকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার যারা উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করতে পারছেন না, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে যেদিক থেকে এসেছেন সেদিকে। প্রধান সড়কে যেমন যানবাহন চলাচল করছে না তেমনি অলিগলিতেও রিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।
সকাল ৯টায় মগবাজার, মধুবাগ, হাতিরঝিল হয়ে তেজগাঁও লাভ রোড এলাকার সড়ক পুরোই ফাঁকা দেখা যায়। সাড়ে ৯টায় তেজগাঁও রেলওয়ে ওভারপাস পার হয়ে বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে গিয়ে কিছু প্রাইভেট কার চলতে দেখা গেলেও তা ছিল খুবই সামান্য। তবে এর মধ্যে সরকারি সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িই বেশি লক্ষ্য করা যায়। গাড়ির সংখ্যা তেমন না থাকায় বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট ও পুলিশের তখনও কর্মতৎপরতার প্রয়োজন হয়নি। পৌনে দশটার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে একটি পুলিশ চেকপোস্ট দেখা যায়। সেখানে কয়েকজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে চেক করার মতো কোনো গাড়ি ওই সড়কে ছিল না। কয়েকটি রিকশা থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
সকাল দশটায় পুনরায় বিজয় সরণি ক্রসিং হয়ে জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী ফ্লাইওভার, বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি, কাকলী ক্রসিং সব জায়গায় দুই-একটি প্রাইভেট কার ছাড়া অন্য যানবাহন চোখে পড়েনি। একই অবস্থা দেখা যায় বিমানবন্দর সড়কের কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত। সেখান থেকে প্রগতি সরণি ধরে যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান নতুন বাজার ক্রসিং, শাহজাদপুর, উত্তর বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা, মেরুল বাড্ডা, রামপুরা ব্রিজ, রামপুরা টিভি গেট, রামপুরা বাজার, হাজিপাড়া হয়ে আবুল হোটেল ক্রসিং, মৌচাক পর্যন্ত সড়কে যানবাহনের চলাচল সীমিতই দেখা গেছে।
এ সময় থেমে থেমে বৃষ্টির কারণেও রাস্তার দুই পাশে জনসাধারণের চলাচল ছিল না বললেই চলে। দুই পাশের শপিংমল, দোকানপাট সবই বন্ধ দেখা যায়। তবে কিছু ওষুধের ফার্মেসি খোলা ছিল। রামপুরা কাঁচাবাজারেও ক্রেতা বিক্রেতার সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম দেখা যায়।
অন্যদিকে, গতকাল মিরপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত অন্তত ১০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ। উদ্দেশ্য বিধিবহির্ভূত যানবাহন ও মানুষের চলাচল বন্ধ ও আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া।
সকালে আমিনবাজার ব্রিজে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্ট পরিচালনার সময় দেখা যায়, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এমনকি রিকশা যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এসময় দেখা যায় অধিকাংশ গাড়িতেই লেখা ‘জরুরি সেবায়’ নিয়োজিত। ডাক্তার, নার্স, ওষুধ বিপণন কর্মী, ব্যাংক, ওষুধ প্রক্রিয়াজাতকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের ব্যবহৃত ও ভাড়ায় আনা যানবাহনে স্টিকার সংযুক্ত করেছেন। স্টিকার থাকলেও অনেক গাড়ির কাগজপত্র যাচাই ও বিধিনিষেধে ঘর থেকে বের হওয়ার কাগজপত্র যাচাই করে দেখছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। পথচারীদের অনেকেই কর্মজীবী। সকাল সকাল গাড়ি না থাকায় অনেকে হেঁটে রওনা হয়েছেন কর্মস্থলে। আবার দূরের অসংখ্য যাত্রী চেকপোস্ট থাকায় আমিন বাজার ব্রিজের আগে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে আসেন গাবতলী। এরপর রিকশা বা ভ্যানযোগে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। আমিন বাজার ব্রিজে চেকপোস্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট সৌরভ বলেন, আজ জরুরি সেবার নামে অনেকে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন। বৈধতা সাপেক্ষে সেসব যানবাহনকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে। তবে যারা জরুরি সেবার আওতায় পড়ছেন না তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে মামলা দেওয়া হচ্ছে। কোন কোন গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন জানতে চাইলে আবু সুফিয়ান নামে আরেক ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, অনেকে হাসপাতালে যাচ্ছেন, রোগীর স্বজন, টিকাপ্রত্যাশী, বিদেশগামী, ব্যাংকার, ওষুধ বিপণনকারীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
গাবতলী আউটগোয়িং সড়কেও চেকপোস্ট পরিচালনা করছে ট্রাফিক বিভাগ। সেখানেও ঢাকা থেকে বের হতে যাওয়া গাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে দেখা গেছে। গাড়ির কাগজপত্র না থাকলে আটক করা হচ্ছে যানবাহন, লকডাউনের নির্দেশনা অনুযায়ী ডকুমেন্ট না মিললেও দেওয়া হচ্ছে মামলা। দারুস সালাম জোন ট্রাফিকের এ সার্জেন্ট বলেন, ঢাকার ইনকামিং সড়কে চাপ বেশি। আউটগোয়িং সড়কে চাপ কম। তবুও আমরা লকডাউন বাস্তবায়নে গাড়ি ধরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। অসুস্থতা, মৃত্যুজনিত ও টিকার ব্যাপারে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পথচারীদের মাস্ক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। যাদের মাস্ক নেই তাদেরকে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে।
গত শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। এবারের বিধিনিষেধ গতবারের চেয়ে কঠোর হবে বলে আগেই জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, শনিবার নগরীর কোর্ট বাজার, শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর, শিরোইল বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, সাহেববাজার, নিউমার্কেট, তালাইমারী নিউ মার্কেটসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা। দু’একজন মানুষ মোড়গুলোতে ঘুরাঘুরি করছে। নির্দেশনার আওতাধীন সকল দোকানপাট বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
তারা পথচারীদের সচেতন করে মাইকিং করছেন। যারা রাস্তায় বের হচ্ছেন তাদের প্রত্যেককেই পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন প্রমাণে ব্যর্থ হলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হচ্ছেন তাদের দ্রুত কাজ শেষ করে ঘরে ফেরার নির্দেশনাও দেয়া হচ্ছে।
লকডাউনের প্রথম দিনে দূরপাল্লার কোনো পরিবহণও ছেড়ে যেতে কিংবা প্রবেশ করতে দেখা যায় নি। তবে প্রাইভেট পরিবহণে প্রবাসীদের ও জরুরি প্রয়োজনে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতে জনসমাগম কিছুটা বেশি দেখা গেছে। শনিবার সকাল থেকেই নগরীজুড়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের টহল দেখা গেছে। নগরীজুড়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের চারটি ও ৯ টি উপজেলায় ১৮ টি ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে। নগরীর প্রবেশপথগুলোতেও পুলিশের বাড়তি নজরদারি দেখা গেছে।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, নোয়াখালীতে লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নিষেধ অমান্য করায় ১৫৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি সড়কে রিকশা, মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি ছোট-খাট যানবাহন চলাচল করলেও বেশির ভাগ সড়ক ফাঁকা রয়েছে। নোয়াখালী সুপার মার্কেটসহ জেলার সকল মার্কেট, শপিংমল বন্ধ রয়েছে। শহরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান খোলা থাকলেও তাতে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। তবে কিছুটা ভিন্ন চিত্র গ্রামের বাজারগুলোতে। বেশির ভাগ বাজারেই অর্ধেক সাটার খোলা রেখে দোকান চালাচ্ছেন দোকানিরা। প্রশাসনের গাড়ী দেখলে কিছুসময়ের জন্য বন্ধ করলেও পুনরায় আবার খুলছে।
সিলেট ব্যুরো জানায়, লকডাউন বাস্তবায়নে মহানগরীজুড়ে ৪৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। একইসাথে দিন-রাত মিলে কাজ করছে পুলিশের ৯৭টি টহল টিম।
লকডাউন বাস্তবায়নে নগরীর জিন্দাবাজার, লামাবাজার, রিকাবীবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, টিলাগড়, মদিনা মার্কেট, তেমুখী, উপশহরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে এসএমপি। মহানগরীর প্রবেশমুখগুলোতেও আছে চেকপোস্ট। পুলিশকে এসব চেকপোস্টে দেখা গেছে সতর্ক অবস্থায়। কোনো যানবাহন এলেই কোথায় যাবে, কেন যাবে এসব জিজ্ঞেস করছেন পুলিশ সদস্যরা। জরুরি হলে যেতে দিচ্ছেন, না হলে দিচ্ছেন আটকে। এদিকে, লকডাউনের প্রথম দিনে গতকাল শুক্রবার বিধিনিষেধ অমান্য করায় পুলিশের অভিযানে সিএনজি অটোরিকশা ২৮টি, মোটরসাইকেল ৯টি, প্রাইভেটকার ৭টিসহ ৪৬টি যানবাহনের বিরুদ্ধে হয়েছে মামলা। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশা ৩৫টি, মোটরসাইকেল ১৪টি, প্রাইভেটকার ৫টি ও অন্যান্য যানবাহন ৩৮টিসহ মোট ৯২টি যানবাহন করা হয় আটক। এছাড়া প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে আদায়।
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে জানান, বিনা কারনে কাউকে রাস্তায় বের হতে দেওয়া হচ্ছে না এবং শহরের ও জেলার সকল হাটবাজারের দোকান পাট বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে গ্রামাঞ্চলে ও শহরের কোন গলিতে কিছু দোকানপাট খোলা দেখা যাচ্ছে। আর এত কঠোরতার মধ্যেও মাষ্ক পরানো বাধ্যতামূলক করা যাচ্ছে না। মাস্ক ছাড়া লোক চলাচল চোখে পড়ছে। মাগুরা জেলা প্রশাসক ড, আশরাফুল আলমের নেতৃত্ব জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ১৪ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। শহরের কোন দোকানপাট খোলেনি ও কোন যানবাহন চলাচল করছে না। তবে পন্যবাহী যাববাহন চলেছে সড়কে।
মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা জানান, দ্বিতীয় দিনে শনিবারেও রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম দেখা যায়। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা শহরের প্রবেশ মুখ ও সকল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী, বি.জি.বি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যানবাহন আটকিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দৌলতখান(ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, লকডাউনের দ্বিতীয় দিন সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করায় ১৩ জনের ৮ হাজার ৮শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বিধিনিষেধ অমান্য করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৩ ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী), পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় লকডাউন না মানায় এবং স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ জনকে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। শনিবার বেলা ১০.৪৫টা থেকে শুরু করে দুপুর ১.৪৫টা পর্যন্ত কলাপাড়া পৌর শহরের সদর রোড, মহিপুর ও আলীপুর বাজার এলাকায় এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও লোকজনকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। সড়কে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনসহ রিকশা ও ভ্যান চলাচল করছে। টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সেখানে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে সাধারণ মানুষ পুলিশী চেকপোস্টে জেরার মুখে বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। এছাড়া র্যাব ও আনসার সদস্যরাও মাঠে টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।