Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, মৌসুমী বায়ু সক্রিয়

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ এটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন উত্তর ওডিশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে অবস্থান করে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিত প্রভাবে দেশে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। বর্ষার মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবক’টি বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় টেকনাফে ৯৯ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৪.৬ এবং সর্বনিম্ন টেকনাফে ২৪ ডিগ্রি সে.। ঢাকায় পারদ সর্বোচ্চ ৩১ এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সে.। এ সময়ে ঢাকা মহানগরীতে বৃষ্টি ঝরেনি।
আবহাওয়ার বিশেষ বার্তায় জানা গেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন উত্তর ওডিশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে অবস্থান করে। সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ স্থানে, ঢাকা বিভাগের অনেক স্থানে এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ুর একটি বলয় ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, পূর্ব মধ্যপ্রদেশ, সুস্পষ্ট লঘুচাপটির কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপর সক্রিয় এবং দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে জোরালো রয়েছে।
নদ-নদী পরিস্থিতি
দেশের নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস-বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। অনেক স্থানে পানি প্রায় স্থিতিশীল বা থমকে আছে। উজানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। উজানের ঢল নামছে ভাটির দিকে। নদ-নদীগুলোর পানি হ্রাস-বৃদ্ধি-স্থিতিশীল থাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল থেকে ভাটি হয়ে পদ্মা-মেঘনার মোহনা পর্যন্ত নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে পৈত্রিক বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা। নদীর করাল গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, ফল-ফসলের জমি, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে নদ-নদীপাড়ের অনেক গ্রাম-জনপদ।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০৯টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল শুক্রবার ৪১টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৬২টিতে হ্রাস পায়। ৪টি স্থানে পানি অপরিবর্তিত থাকে। গত বৃহস্পতিবার নদ-নদীর ৩৫টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৬৪টিতে হ্রাস পায়, ৫টি স্থানে অপরিবর্তিত ছিল। বুধবার ৪৩টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৪৬টিতে হ্রাস পায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লঘুচাপ

২২ অক্টোবর, ২০২২
৫ অক্টোবর, ২০২২
৫ অক্টোবর, ২০২২
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ