পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদ উল আযহার ৩য় দিনে রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেছে। গতকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৭ নং ওয়ার্ডের অনেক জায়গায় কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটিতে কয়েকটি স্থানে বর্জ্য পড়েছিল। ডিএসসিসির ৬৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামসুল ইসলাম জানান, ওয়ার্ডের বেশিরভাগ স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কোরবানির বর্জ্য পড়ে আছে। তিন দিন পড়েও এসব ময়লা পরিষ্কার করছে না সিটি করপোরেশন। ৬০ নং ওয়ার্ডের বর্ণমালা স্কুলের পাশে বায়তুল আশেকিন মসজিদের সামনে কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সিটি করপোরেশন এসব এলাকায় বর্জ্য পরিষ্কার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
সিটি করপোরেশনের দেয়া তথ্য মতে, ঈদুল আজহার প্রথম তিন দিনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মিলে ৩২ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) সমগ্র এলাকায় কোরবানির দিন ১ম দিনে মোট ১১ হাজার ৯ শত ৩৫ মেট্রিক টন, দ্বিতীয় দিনে মোট ১৫ হাজার ৭৩৩ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করেছে। গতকাল শুক্রবারের তথ্য আজ সরবরাহ করবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংওযাগ কর্মকর্তা আবুল বাশার মো. তাজুল ইসলাম।
এদিকে ডিএসসিসি ১ম দিনে মোট ১১ হাজার ৪৮৩.৪৫ মেট্রিক টন, ২য় দিনে মোট ১২৪০২.৭০ মেট্রিক টন এবং ৩য় দিনে সর্বমোট ১৬ হাজার ৫১৮.৩৯ মেট্রিক টন কোরবানির পশু ও হাটের বর্জ্য অপসারণ করা করেছে।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডেও কোরবানির পশুর সব বর্জ্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান। তিনি বলেন, রাস্তা ও কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য সরাতে তাদের যানবাহনের মোট ৪ হাজার ৩৫৯টি ‘ট্রিপ’ দিতে হয়েছে। এই সিটিতে প্রায় দশ হাজার কর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন বলে দক্ষিণের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন জানান।
ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান বলেন, ১১ হাজার ৫০৮ জন) কর্মী বর্জ্য অপসারণে বিশেষ অভিযানে নিয়োজিত আছে। নিয়মিতভাবে বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি তারা এদিন সড়ক, লেক, ড্রেন ও খালের মতো স্থানেও কাজ করছে। আমরা যতোই বলি অনেক নগরবাসীই নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেন না। সেই কোরবানির বর্জ্য সড়কে থাকে, ড্রেনে গিয়ে মেশে, সেখান থেকে খালে। কাজেই এসব জায়গায়ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।