Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ঈদের আমেজ কাটতে না কাটতেই কর্মস্থলের দিকে ছুটছে মানুষ

ঢাকা কোচস্ট্যান্ডসহ টার্মিনালগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০২১, ৭:৫৯ পিএম

ঈদের আমেজ কাটতে না কাটতেই বুক ভরা কষ্ট নিয়ে কর্মস্থলের দিকে ছুটছে মানুষ। আর এ প্রেক্ষিতে সকাল থেকেই নগরীর ঢাকা কোচ ষ্ট্যান্ডসহ বাস টার্মিনালগুলোতে উপচে পড়া ভীড় লেগে আছে। বেলা যতই বাড়তে থাকে নগরীর এই তিনটি স্থানে ভীড় ততই বাড়তে থাকে। উদ্দেশ্য একটাই যে কোন ভাবে বাসে ওঠা।
আগামীকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর থেকে আবারও দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ায় ঈদে আসা মানুষগুলোকে দ্রুতই ফিরতে হচ্ছে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে। বুধবার ঈদ শেষে রাত পেরিয়ে আজ আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মানুষ ঢাকামুখী হয়ে পড়ে। সকাল থেকেই নগরীর রেল ষ্টেশন, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, ঢাকা কোচ ষ্ট্যান্ড এবং মডার্ন মোড়ে আসতে থাকে মানুষ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাস টার্মিনালগুলোতে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
সকাল ১১টা এবং বিকেল ৪টার দিকে নগরীর ঢাকা কোচ ষ্ট্যান্ড, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এবং মডার্ন মোড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তিনটি স্থানে কর্মস্থলগামী মানুষের উপচে পড়া ভীড়। এসব স্থানে আগত লোকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অনেকে আগেই টিকেট কিনে রেখেছেন। অধিকাংশই এসেছেন টিকেট ছাড়া। তাদের উদ্দেশ্য যে কোন ভাবেই হোক কর্মস্থলে যেতে হবে। টার্মিনালগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বাস কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিধি মেনে যাত্রী নেয়ার চেষ্টা করলেও যাত্রীদের চাপের কারনে তা সম্ভব হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের বাধা উপেক্ষা করেই যাত্রীরা গাড়িতে উঠে পড়ছেন। এতে বাস কর্তৃপক্ষও বিপাকে পড়ছেন। টার্মিনালগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আগত যাত্রীদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। প্রচন্ড গরমে উপচে পড়া ভীড়ে তারা বেশ নাকাল হয়ে পড়েছে। তারপরও চেষ্টা চালাচ্ছে যে কোন ভাবেই হোক কর্মস্থলে যাওয়ার।
এদিকে, কর্মস্থলমুখী মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দের ছোঁয়া থাকলেও তার চেয়ে বেশি রয়েছে দ্রুততম সময়ে স্বজনদের ছেড়ে যাওয়ার বেদনা।
প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে রংপুরে আসা লোকমান হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান, গত ঈদেও আসতে পারেননি। অনেক কষ্ট করে অফিস ম্যানেজ করে দুইদিন বেশি ছুটি নিয়ে ঈদের তিন দিন আগে এসেছেন। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবারও ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে। যেতে না পারলে হয়ত চাকরী থাকবে না। অনেকদিন পর বাড়িতে এসে বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনদের ছেড়ে দুইদিনেই ফিরে যাওয়া অত্যন্ত কষ্টদায়ক। তাই ঈদের আনন্দ থাকলেও অনেক খারাপ লাগছে।
ঢাকা কোচ ষ্ট্যান্ডে আগত ঢাকাগামী যাত্রী নুসরাত জানান, গত রমজান ঈদেও আসা হয়নি। ঈদ মুখ্য বিষয় নয়, অসুস্থ বাবাকে দেখতে এসেছি। শুনেছিলাম ২৭ তারিখ থেকে লকডাউন শুরু হবে, এখন তো শুনছি কাল থেকেই লকডাউন শুরু। লকডাউন শুরু হলে তো যেতে পারবো না। এখন যে ভাবেই হোক ঢাকা যেতে হবে। এভাবে অসুস্থ বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনদের ছেড়ে এভাবে যাওয়া অনেক কষ্টের। কিন্তু কোন উপায় তো নেই। তাই চেষ্টা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ