পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিবছর ঈদ এলেই রাজনীতিবিদরা ছুটে যেতেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। করোনার কারণে গত চার ঈদ নির্বাচনীয় এলাকায় যেতে পাচ্ছেন না মন্ত্রী-এমপি এবং বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। দেশের স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ মন্ত্রী-এমপিরা এবার রাজধানী ঢাকায় ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন। আগামীকাল দেশব্যাপী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ‘ঈদ আনন্দ’ সবকিছুতেই যেন ভাটা পড়েছে।
করোনার থাবা থেকে বাদ পড়েননি মন্ত্রী-এমপি এবং বিএনপিসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী-এমপি মারা গেছেন। আবার একাধিক মন্ত্রী ও কয়েকজন এমপি করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ সংকটকালে পবিত্র ঈদুল ফিতরের মতো এবারও অনেকটা ভিন্ন মাত্রায় ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন রাজনীতিবিদরা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, রেলপথ বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সড়ক ও পরিবহন সেতু বিভাগের কিছু অফিস খোলা রাখা হয়েছে এবং কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারি বাসভবন গণভবনে ঈদ উদযাপন করবেন। প্রতি বছর ঈদের দিন সকালে তিনি গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন। গতবারের মতো এবারও সেটা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। যদিও ইতোমধ্যে তিনি অডিও ও ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মাথায় রেখে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানিয়েছেন। গণভবন সূত্রে জানা গেছে, ঈদে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি না থাকলেও ফোনে ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনার শুরু থেকেই বেশিরভাগ মন্ত্রী-এমপি ও নেতাই ঢাকায় অবস্থান করছেন। করোনার কারণে অনেকেই সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। দীর্ঘ দেড় বছর ঘরবন্দি থেকেই ফোনে কিংবা অনলাইনে যোগাযোগ রেখেছেন। নির্বাচনী এলাকার জনগণের সঙ্গে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের কেউ কেউ দুর্যোগের মধ্যেও এলাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছেন গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে বেশিরভাগ মন্ত্রী-এমপি এবার ঈদ উদযাপন করবেন। তারা হলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। করোনার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনেই অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই প্রতিদিন ভিডিও কনফারেন্সে দলের নির্দেশনা নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। ঈদের দিন তিনি জাতীয় সংসদ ভবনের মসজিদে নামাজ আদায় করবেন। এরপর পরিবারের সঙ্গেই থাকবেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে টেলিফোনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ঈদের দিনও নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী বই পড়ায় ব্যস্ত থাকবেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঢাকায় ঈদ করবেন। পরে দিন যাবেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নিজ নির্বাচনী এলাকায়। পর ঢাকায় আসবেন। রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ঢাকায় ঈদ করবেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ঢাকায় ঈদ করবেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ময়মনসিংহ, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুরে ঈদ করবেন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম শরিয়তপুরে ঈদ করবেন। মহিলাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ঢাকা থাকবেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। করোনার কারণে সৃষ্ট দুর্যোগের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন নির্বাচনী এলাকার অস্বচ্ছল পরিবারের সঙ্গে। তার জমানো ভাতা তার নিজ এলাকার অসচ্ছল মানুষের মাঝে বিতরণ করেন। নিজ নির্বাচনী এলাকা কুড়িগ্রামে থাকছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী জাকির হোসেন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে তারা গ্রামে যেতে পারছেন না। গ্রামে গেলেই নেতাকর্মীরা সমবেত হবেন, সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে না। এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।
এদিকে সচিবদের মধ্যে যারা ঢাকায় ঈদুল আজহা পালন করছেন, তারা হলেনÑ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব ঢাকায় ঈদ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।