রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সরকার ঘোষিত লকডাউন ও করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো কামারপল্লীগুলো। কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদুল আযহা বা কুরবাণির ঈদ। আর ঈদকে ঘিরে নীলফামারী সৈয়দপুরের কামারপল্লীগুলো দীর্ঘদিন পর আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকা। কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে কামাররা। কুরবানির পশুর গোশত কাটার সামগ্রী তৈরি ও পুরাতন দা, ছুরি, বঁটি, চাপাতি শান দেয়ার ধুম পড়েছে কামারীদের। ঈদকে ঘিরে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।
সরেজমিনে, উপজেলার কামারপুকুর, খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর, বোতলাগাড়ী ও বাঙালিপুর ইউনিয়ন ঘুড়ে দেখা গেছে কামারপল্লীর একই অবস্থা। কামারীদের হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখোরিত হয়েছে উঠেছে এলাকা। শহরের সবগুলো কামারের দোকানে বিদ্যুৎচালিত শান মেশিন ব্যবহার করে অল্প সময়ে অধিক কাজ করছেন কামাররা। পাশাপাশি লোহা পেটাচ্ছেন অন্য কর্মচারীরা।
এছাড়া পাড়ায় পাড়ায় মৌসুম ভিত্তিক ভ্রাম্যমান কামাররা শান দেয়ার যন্ত্র (পা চালিত) ঘাড়ে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম শান দিচ্ছেন।
শহরের ১নং রেল গুমটি সংলগ্ন রেললাইনের পাশে কামারের দোকানি জিলু কর্মকার বলেন, চলমান করোনার সংক্রমন থেকে দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ ছিলো। করোনা পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় উপকরণ কাঁচামাল লোহার মূল্য প্রায় তিনগুন বেড়ে গেছে। তাছাড়া এবার করোনা পরিস্থিতিতেই অনেকেই কুরবানিও দিতে পারবে না তাই ব্যবসা নিয়ে চিন্তায় আছি। বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের কর্মকার রমনাথ বলেন, কুরবানির ঈদকে ঘিরে আবারও দোকান চালু করেছি। এই ঈদে অনেক গরু-ছাগল কুরবানি হয়ে থাকে। পশু জবাই থেকে শুরু করে কুরবানির গোশত রান্নার জন্য চুড়ান্ত প্রস্ততি পর্যন্ত দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি প্রয়োজন হয়। বছরের অন্যান্য সময় কাজ কম থাকলেও এ সময়ে আমরা কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ি।
জানা যায়, এ বছর আগের তুলনায় একটি দা আকার ও লোহা ভেদে ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকা, ছুরি আকার ভেদে ৫০ থেকে ৪শ’ টাকা, হাড় কাটার চাপাতি একেকটি ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং পুরনো যন্ত্রপাতি মেরামত করতে ৫০ থেকে ২শ’ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন কামাররা। লোহার দাম বৃদ্ধি হওয়ায় দাম একটু বেশি বলেও জানান দোকানিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।