Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জ্বর পরিমাপের থার্মোমিটারের দামের উত্তাপ ছাড়াচ্ছে পটুয়াখালীর বাজার

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২১, ৫:৪৮ পিএম

পটুয়াখালীতে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির সাথে একদিকে যেমন চাহিদা বেড়েছে জ্বর পরিমাপ যন্ত্র থার্মোমিটারের, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে থার্মোমিটারের দামের। এ অবস্থা জেলা শহরের ফার্মেসীসহ উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত।
করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থকে আগে যে নরমাল চায়না থার্মোমিটার বিক্রি হতো ৩০থেকে ৩৫ টাকায় তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০থেকে ৮০ টাকায় ।চায়না উন্নত মানের একটি থার্মোমিটার আগে বিক্রী হতো ৬৫ টাকায় এখন তা বিক্রী হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।ডিজিটাল থার্মোমিটার আগে বিক্রি হতো ৯৫ টাকায় এখন তা বিক্রী হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় ।
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা সদরের হাসপাতালের সামনে মোল্লা ফার্মেসীর মালিক মো: রিয়াজ মোল্লা জানান,করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির আগে যেখানে মাসে ১২ টা বিক্রি হতোনা ,সেখানে এখন প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ টা থার্মোমিটার বিক্রি হচ্ছে।চায়না থেকে ইমপোর্টের মাধ্যমে আসা থার্মোমিটারের আগে তারা মিটফোর্ড পাইকারী বাজার থেকে অর্ডারের মাধ্যমে কিনে আনতেন ২৪০ টাকায় ,এখন সেগুলি তাদের কিনে আনতে হচ্ছে কমপক্ষে ৬০০ টাকায় ।এর মধ্যে আবার দুই একটা থাকে ভাংগা বা নষ্ঠ যার কারনে তারা বাধ্য হয়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রী করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
কলাপাড়া উপজেলার রুম্মান ফার্মেসীর সত্বাধিকারী মো:আশরাফুল আতিক রুম্মান জানান, চায়না ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটারের আগে তারা বিক্রী করতেন ৩৫ টাকায় এখন তাদের বেশী দামে কিনতে বাধ্য হওয়ায় তারা ৭০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।তোশিবা নামে একটি থার্মোমিটার আগে বিক্রী হতো ৬৫ টাকায় এখন তা বিক্রী হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় তাদের বেশী দাম কিনতে বাধ্য হওয়ায় তারা এই দামে বিক্রী করছেন।
পটুয়াখালী ব্যায়মাগার মোড়ের মমতা ফার্মেসীর মো: ফোরকান জানান,করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাথে থার্মোমিটারের চাহিদা বেড়েছে।বেশী দাম দিয়ে ঢাকার পাইকারী বাজার থেকে কিনতে বাধ্য হওয়ায় তারা পূর্বের দামে বিক্রী করতে পারছেন না।
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আবিড় ফার্মেসীর সত্বাধিকার ইব্রাহীম হাওলাদার জানান,জেলা সদরের পাইকারী দোকানে বেশী দাম থাকায় তারা বেশী থার্মোমিটার কিনেন না ।গ্রাম গঞ্জে মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন,আমরা জ্বর মেপে ওষুধ খাওয়ার কথা বলি,কিন্তু থার্মোমিটারের বেশী দামের কথা শুনে কিনতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন তারা।নি¤œ আয়ের মানুষ লোকোন মতে জ্বরের ওষুধ কিনে চলে যায় থার্মোমিটার না কিনে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক গাজী শহিদুল ইসলাম শাহীন জানান,যেহেতু থার্মোমিটার ইমপোর্ট প্রডাক্ট, করোনার প্রকোপ সারা দেশেই বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে না পরায় ঢাকার পাইকারী বাজারে থার্মোমিটারের দাম বেশী। এদিকে রোগী ছাড়াও সাধারন মানুষ অনেকই করোনার সতকর্তায় জ্বর পরিমাপের জন্যথার্মোমিটার কিনছেন তাই বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা পূরনে জেলা থেকে প্রত্যন্ত পর্যায়ের দোকান মালিকরা বেশী দামে জ্বর পরিমাপের থার্মোমিটার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ