Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজার সৈকত দখলের হিড়িক

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২১, ৫:৪২ পিএম

লকডাউনের সুযোগে কক্সবাজার সৈকতের প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকায় মেরিন ড্রাইভের পশ্চিম পাশে চর দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে।

ইতোমধ্যে শহরতলীর দরিয়ানগর সৈকতে সাগরলতার বন সমৃদ্ধ বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অর্ধশতাধিক স্থাপনা। সৈকত সংলগ্ন বানরের পাহাড় অভয়ারণ্যও ঘেরা বেড়া দিয়ে দখল করে নেওয়া হচ্ছে।

উখিয়ার সোনারপাড়ায় রেজু খাল সংলগ্ন প্যারাবন ধ্বংস করে সেখানেও চলছে দখলবাজদের থাবা।
সংশ্লিষ্টদের তদারকী না থাকায় এক প্রকার বিনাবাধায় সৈকত দখল ও স্থাপনা নির্মাণে সক্ষম হচ্ছে দখলদাররা। এ কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছ নানা প্রশ্ন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটন স্পট ইনানী বিচের পাশেই আনুমানিক তিন একরের একটি জায়গা দখল করে লোহার শিকল দিয়ে ঘেরা দিয়ে রাখা হয়েছে। প্রস্তুতি রয়েছে স্থাপনা নির্মাণেরও। স্থানীয়রা জানান, সালা উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি এটি দখল করে রিসোর্ট নির্মাণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তবে অভিযুক্ত সালা উদ্দিনের ভাই কুতুব উদ্দিনের দাবি, জায়গাটি তাদের ব্যাক্তি মালিকাধীন। ১০ থেকে ১২ বছর আগে এটি তারা ক্রয় করেছিলেন। এখন ঘেরাবেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। তার অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করায় তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন খতিয়ানভুক্ত জায়গা সৈকতের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে।
কিন্তু মেরিন ড্রাইভ সড়ক করেছেন সেনাবাহিনী। তাই এধরণের অমুলক অভিযোগ থাকার কথা নয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সংযুক্তি দাশ গুপ্তা বলেন, সমুদ্র এলাকা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, মেরিন ড্রাইভের পশ্চিম পাশে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকা হওয়ায় স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনকি মেরিন ড্রাইভের পূর্ব পাশে ৩০০ মিটারের দূরত্ব না হলেও স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আমিন আল পারভেজ বলেন, সমুদ্র এলাকা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্নেল অবঃ ফোরকান আহমদ বলেন, কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত আমাদের অমূল্য সম্পদ। তাই সমুদ্রসৈকত এলাকা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ সহ্য করা হবে না। বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি।

তিনি বলেন, এর আগেও সৈকতের এলাকা দখল করে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সেসবও সময়মতো উচ্ছেদ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ