পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট ছাড়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনীতি ভাঙাগড়ার খেলা। উনারা রাজনৈতিক চাপে, মামলা মোকদ্দমার প্রচণ্ড রকমের চাপে, চাকরি চলে যাবে, যেহেতু বেশির ভাগ নেতাই মাদ্রাসায় চাকরি করেন, তারা টিকে থাকতে পারছেন না, তাই যেতেই পারেন। ফলে তারা রাজনীতিতে টিকতে পারছেন না। যাওয়ার সময় সত্য কথাগুলো বলে যাওয়াই ভালো। অযথা অন্যকে দোষারোপ করে একটা নজির সৃষ্টি করতে চান, এটা ঠিক না। কারণ, আমাদের সঙ্গে তাদের কখনও কোনো সমস্যা হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জোট গঠনের সময় ২০-দলীয় জোটের যে ঘোষণাপত্র ছিল, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে একটা আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য একটা জোট। সেভাবে আন্দোলন করেই নির্বাচনে যাওয়ার একটা ব্যাপার ছিল। সেখানে শরিক যে কোনো দল তার নিজস্ব রাজনীতি করবে, নিজস্ব কথা বলবে। এখানে একটা দলের রাজনীতি আর একটা দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। প্রশ্নই উঠতে পারে না। সেখানে তারা (জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক) যে কথাগুলো বলেছেন, এ কথাগুলো একেবারেই সত্য নয়। কীভাবে তিনি বললেন, আলেম-ওলামাদের গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা কিছু বলিনি। আমিই তো সবচেয়ে আগে কথা বলেছি। মানুষ আশা করে যে, আলেম-ওলামারা সত্য কথা বলবেন। কিন্তু এটা ওনারা কীভাবে বললেন? দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের প্রতি মানুষের সেই আস্থা থাকবে কিনা আমি জানি না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শরিয়া আইনে বিশ্বাস করি না এটাও বলেছেন, আমাদের সংগঠন পড়ে দেখবেন শরিয়া আইনের বিষয়টা নাই। উনারা চান ওনারা করুক। শরিয়া আইনের বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার করে বলা আছে, আমরা কখনও শরিয়াবিরোধী কোনো আইন পাস করব না। আমরা যখন সরকারে ছিলাম সেটা করিনি। কিন্তু একথা বলা যে, আমরা শরিয়া আইনের বিরোধিতা করেছি, ইসলামি মূলবোধে বিশ্বাসী না, এসব কথাবার্তা বলা মানে হলো ব্যক্তিগত আক্রমণ করা। আমি মনে করি, উনারা এটা ভালো কাজ করেননি। এ সমস্ত ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে ওনারা দূরে সরে আসবেন। বিরোধী রাজনীতিতে ওনারা টিকতে পারছেন না, সেই কারণে ওনারা চলে যাচ্ছেন, সেটা বলে দিলেই তো হয় যে, সরকারের প্রচণ্ড চাপে আমরা টিকতে পারছি না। মামলা-মোকদ্দমায় ভীষণভাবে ব্যতিব্যস্ত হয়ে গেছি। এটা না বলে কাউকে ব্যক্তিগত দোষারোপ করা সঠিক কাজ নয়।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, জমিয়তের যে আমির ছিলেন নূর হোসাইন কাসেমী সাহেব, অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় মানুষ। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। একজন সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক মানুষ বলতে যা বোঝায়, তিনি সে রকমই ছিলেন। তিনি বড় আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদও ছিলেন। তিনি মারা যাওয়াতেই সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মির্জা ফখরুল বলেন, উনারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, অনেক দিন ধরে দেন-দরবার করছেন, শেষ পর্যন্ত এটা হয়েছে। যাই হোক এটা আমি বলতে চাই না। আমি বলছি তারা চাপে টিকতে পারছে না, সেজন্য ছেড়ে দিয়েছে।
গত ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (একাংশ)। এর প্রতিক্রিয়ায় ওই দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেছিলেন, জমিয়তের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে জোট ছেড়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।