বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারী করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ২২ দিন বন্ধ থাকার পর দেশের সব রুটে ট্রন চলাচল করলেও চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলগেটের তালা খুলেনি। দীর্ঘ ৫৫ বছর পর চালু হয়, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিলে বন্ধ করে দেওয়া হয় চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ।
চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ বাংলাদেশ ও ভারতের সবচেয়ে লাভজনক রেলপথ। ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিলাহাটি এবং ভারতের হলদিবাড়ি অংশের মধ্যে নতুন রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করেন। এরপর করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ দিলে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৫টি রেলপথের মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি হবে উভয় দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক রেলপথ। ডোমার উপজেলার চিলাহাটি থেকে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু রয়েছে। অপরদিকে, হলদিবাড়ি থেকে গোটা পশ্চিমবঙ্গ, কুচবিহার,আসাম ,ত্রিপুরা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু রয়েছে।
এ রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানে সঙ্গে কম খরচে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থাপন হবে। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ইন্টারচেঞ্জ লিংক চালু হলেই বন্ধু প্রতিম দেশের মধ্যে উন্নয়নের দুয়ার খুলে যাবে। লাভবান হবে উভয় দেশ, বদলে যাবে উভয় এলাকার আর্থসামাজিক চেহারা।
রেলওয়ে সূত্র মতে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাক-ভারত বিভক্তের পরও এ পথে রেল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দু’দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করত যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দু’দেশের মধ্যে রেল চলাচল। পরিত্যক্ত রেলপথটি চালুর উদ্যোগ নেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের কুচবিহার জেলার হলদিবাড়ি সীমান্ত রেলস্টেশন পেরিয়ে ইঞ্জিনটি বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছে। সেখানে ১০ মিনিট অবস্থানের পর পুনরায় ছেড়ে যায় হলদিবাড়ির উদ্দেশ্যে। পরে ওই সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় রেলবিভাগের কর্মকর্তারা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এরপর ২৭ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের (জিরো ল্যান্ড) বাংলাদেশে রেলওয়ের ইঞ্জিনের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।