Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রবীন সাংবাদিক মিজানুর রহমান তোতা আর নেই

ইনকিলাব সম্পাদকসহ বিভিন্ন মহলের গভীর শোক

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

দৈনিক ইনকিলাবের যশোর ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক মিজানুর রহমান তোতা আর নেই। গতকাল শনিবার যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি এক ছেলে দুই মেয়ে নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম জনপদের প্রথিতযশা সাংবাদিক ও কবি মিজানুর রহমান তোতার মৃতুতে যশোর প্রেসক্লাবে শোকের ছাড়া নেমে আসে। তার সহকর্মী ও যশোরের গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

ব্যাক্তি জীবনে পরিচ্ছন্ন এবং সাদা মনের মানুষ মিজানুর রহমান তোতা সাংবাদিকতা ছাড়াও লেখালেখি করতেন। তিনি একজন কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে মানুষের যাপিত জীবন দেখে, নদী ও প্রকৃতি দেখে তিনি কবিতা, গল্প লিখতেন।

মরহুমের ছেলে শাহেদ খান জানান, গত ৩ জুলাই নিজ বাড়িতে তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। ওইদিনই তাকে যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে তার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল এসেছিল। আইসিইউতে থাকাবস্থায় শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোরের মধ্যে যে কোন এক সময় তার হার্ট এ্যাটাক হয়। সকাল ৭ টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় করোনা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এর কয়েক দিন পর দ্বিতীয় ব্রেনস্ট্রোক হয়। ওইদিন তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের ডাক্তার তাকে কোভিড-১৯ রোগী বলে শনাক্ত করেন। পরীক্ষায় দেখা যায় তার ফুসফুসের প্রায় ৬৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। সাথে সাথেই তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা রেডজোনে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই সময় করোনা রেডজোন থেকে বের করে তার স্ট্রোকের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি।

গতকাল শনিবার বাদ জোহর যশোর শহরের নূতন খয়েরতলা জামে মসজিদে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে স্ত্রী রেবা রহমানের পাশে দাফন করা হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন তার ভাগ্নে জহিরুল ইসলাম।

জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি ফকির শওকত, সম্পাদক আহসান কবীর, সাবেক সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান,সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু,সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ভিটু, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন, সাবেক কাউন্সিলর মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তা, শহর আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, মিজানুর রহমান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের রবিউল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজামান মিঠু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রেসক্লাবের সাবেক এই শীর্ষ নেতার মৃত্যুতে প্রেসক্লাব ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন এবং শোকবই খোলা হয়েছে। এর আগে সকালে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মিজানুর রহমান তোতার কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর আগে সকালে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মিজানুর রহমান তোতার কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতার জীবন :
মিজানুর রহমান তোতার জন্ম ঝিনাইদহে। যশোর থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক স্ফুলিঙ্গের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। পরে তিনি দৈনিক আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেন। দৈনিক ইনকিলাব প্রকাশের পর তিনি তাতে যোগদান করেন। আমৃত্যু তিনি ইনকিলাবেই ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দু কন্যা ও এক সন্তানের জনক ছিলেন। তার স্ত্রী রেবা রহমান দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার যশোর ব্যুরো’র স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট রেবা রহমান মারা যান।

যশোর সংবাদপত্র জগতে বিচরণ করে অবিভক্ত যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, একবার প্রেসক্লাব যশোরের সেক্রেটারি ও তিনবার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৭৭ সাল থেকেই ছড়া, কবিতা, সংবাদ লেখালেখিতে প্রবেশ। ১৯৭৮ সালে দৈনিক গণকন্ঠের রিপোর্টার, সমাচারের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৭৯ সালে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৮০ সালে পিআইবির লং কোর্সের প্রশিক্ষণ, পরবর্তীতে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের নিউজ এডিটর, দৈনিক ঠিকানায় এক্সিকিউটিভ এডিটর, দৈনিক আজাদের স্টাফ রিপোর্টার ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি, সাপ্তাহিক পূর্ণিমায় খন্ডকালীন লেখালেখি, তারপর থেকেই দৈনিক ইনকিলাবে একটানা তিনি কাজ করছেন।

সাংবাদিকতার ওপর তার ‘মাঠ সাংবাদিকতা’ এবং আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘ক্ষতবিক্ষত বিবেক’ নামের গ্রন্থ দুটি ইতোপূর্বে খুবই সমাদৃত হয়েছে। প্রথিতযশা এই সাংবাদিক সাহিত্যচর্চা করেন বহুদিন। তার অসংখ্য কবিতা দেশে-বিদেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তার নির্বাচিত ৮০টি কবিতা নিয়ে ‘দিবানিশি স্বপ্নের খেলা’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ হয়েছে।

দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদকের শোক :
দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন মিজানুর রহমান তোতার ইন্তেকালে এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ ও তার রূহের মাগফেরাত কামনা করেছেন। তিনি মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং ধৈর্য ধারণের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মরহুম মিজানুর রহমান তোতা একজন সৎ ও নির্ভিক সাংবাদিক ছিলেন। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন।

সাবেক মন্ত্রী এম নাজিম উদ্দিন আল-আজাদ এর শোক : মিজানুর রহমান তোতার মৃত্যুতে বিএলডিপি’র চেয়ারম্যান, সাবেক ধর্ম মন্ত্রী এম. নাজিম উদ্দিন আল-আজাদ এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। এছাড়া তার পরিবারবর্গ ও আত্মীয়স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মিজানুর রহমান তোতা সময়ের সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক।

জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের শোক : দৈনিক ইনকিলাবের যশোর ব্যুরো প্রধান, যশোর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক মিজানুর রহমান তোতার ইন্তেকালে দেশের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

নেতৃবৃন্দ এক শোক বাণীতে বলেন, জনাব মিজানুর রহমান তোতা ছিলেন অত্যন্ত সাবলীল, প্রাণবন্ত ও হাস্যোজ্জল মানুষ। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতি তাঁর ভালবাসা ছিল অপরিসীম। যশোর অঞ্চলে অনুষ্ঠিত জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সকল সভা, সেমিনার, সম্মেলনে তিনি আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করতেন। এছাড়াও জমিয়াতের নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক কিংবা ব্যাক্তিগত যে কারণেই হোক তাঁর শরণাপন্ন হলে কখনোই কাউকে নিরাশ করতেন না। স্বভাবতই তিনি অত্যন্ত পরোপকারী ব্যক্তি ছিলেন।

দৈনিক ইনকিলাব ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনকে তিনি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় হৃদয়ে লালন করতেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কখনোই ইনকিলাব ও জমিয়াতকে আলাদা করে দেখতেন না। তারা মিজানুর রহমান তোতার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। সেইসাথে তাঁর পরিবার, আত্মীয়, পরিজন ও সকল শুভাকাক্সক্ষীগণ যেন এমন শোকার্ত সময়ে ধৈর্য্যধারণ করতে পারেন সেজন্যও আল্লাহর দরবারে দুয়া করেন।

জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যশোর জেলা সভাপতি ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা নূরুল ইসলাম, সেক্রেটারী প্রিন্সিপাল মাওলানা মহসীন আলী, সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা হায়দার আলী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোশাররফ হোসেন যশোর জেলা জমিয়াতের পক্ষ থেকে পৃথক শোক প্রকাশ করেছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের জানামতে মিজানুর রহমান তোতা তাঁর পেশাসহ সকল ক্ষেত্রেই একজন পরিচ্ছন্ন ও সাদা মনের মানুষ ছিলেন। তারা তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। সেইসাথে মিজানুর রহমান তোতাকে মহান রাব্বুল আলামীন যেন জান্নাতের উচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করেন সেই দুয়াও করেন।

ইনকিলাব ভবনে দোয়া : গতকাল শনিবার বাদ আসর রাজধানীর আর কে মিশন রোডস্থ দৈনিক ইনকিলাব ভবনের বার্তা বিভাগে ইনকিলাব ইউনিটের উদ্যোগে মরহুম মিজানুর রহমান তোতার রূহের মাগফেরাত কামানা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম হাফেজ মো. আবু ইউসুফ।

এতে ইনকিলাবের বার্তা সম্পাদক সাকির আহমদ, সিটি এডিটর স্টালিন সরকার, চীফ রিপোর্টার মো. নূরুল ইসলাম, ইনকিলাব ইউনিট প্রধান সানাউল্লাহসহ বার্তা বিভাগ ও ক্রীড়া বিভাগের সকল সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব ব্যুরো চীফ ফোরামের শোক : দৈনিক ইনকিলাব ব্যুরো চীফ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী ব্যুরো প্রধান আনোয়ারুল হক আনোয়ার স্বাক্ষরিত এক শোক বার্তায় বলা হয়, বিশেষ ক্রান্তিলগ্নে সহকর্মী মিজানুর রহমান তোতার চলে যাওয়া মেনে নেয়া কঠিন। শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলা হয়, তার একমাত্র পুত্র দৈনিক ইনকিলাবের যশোর ব্যুরো’র স্টাফ রিপোর্টার শাহেদ রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যেন দ্রুত শোক কাটিয়ে উঠতে পারে মহান আল্লাহপাক সেই তওফিক দান করুন। বিবৃতিতে মরহুম মিজানুর রহমান তোতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

বিবৃতিদাতাগণ হলেন, ব্যুরো চীফ ফোরামের উপদেষ্টা ও দৈনিক ইনকিলাবের স্পোটর্স এডিটর রেজাউর রহমান সোহাগ, কোষাধ্যক্ষ ও জেনারেল ম্যানেজার মো. রবিউজ্জামান, চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান শফিউল আলম, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রেজাউল করিম রাজু, বরিশাল ব্যুরো প্রধান মো. নাছিম উল আলম, বগুড়া ব্যুরো প্রধান মহসিন আলী রাজু, ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান শামসুল আলম খান, কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান শামসুল হক শারেক, সিলেট ব্যুরো প্রধান ফয়সাল আমীন, চট্রগ্রাম ব্যুরো বিশেষ সংবাদদাতা রফিকুল ইসলাম সেলিম ও দিনাজপুর আঞ্চলিক প্রধান মাহফুজুল হক আনার প্রমুখ।

বিএফইউজে ও ডিইউজে’র শোক : যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, যশোর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান তোতার ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

এক শোকবার্তায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি এম আব্দুল্লাহ ও মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম জনাব মিজানুর রহমান তোতার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবার সদস্যদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জানান।

ডিইউজে দৈনিক ইনকিলাব ইউনিটের শোক : এক শোকবার্তায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), দৈনিক ইনকিলাব ইউনিট চিফ মুহাম্মদ সানাউল্লাহ এবং ডেপুটি ইউনিট চিফ মাইনুল হাসান সোহেল সহকর্মী মিজানুর রহমান তোতার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। তারা মহান আল্লাহ তা‘আলার কাছে তার জন্য সব গুনাহ থেকে মুক্তি এবং জান্নাতের উচ্চ মাকাম কামনা করেন। একই সাথে মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তারা যাতে এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে তার জন্য আল্লাহর কাছে ধৈর্য কামনা করেন।

বগুড়া ব্যুরো শোকবার্তায় জানান, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি প্রিন্সিপাল আব্দুল হাই বারী, সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওলানা রাগেব হাসান ওসমানি এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন। তারা বলেন, মিজানুর রহমান তোতার ইন্তেকালে ইনকিলাব পাঠকরা তার ধারালো লেখার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন , যা দুঃখজনক ও অপূরনীয় ক্ষতি।

বিএনপি নেতা ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারনণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া চেম্বার সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন, বামফ্রন্ট নেতা এ্যাড সাইফুল ইসলাম পল্টু, কমরেড সাইফুজ্জামান টুটুল, সিপিবি নেতা আমিনুল ফরিদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম রোম পৃথক পৃথক বার্তায় মরহুমের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে বলেন, মিজানুর রহমান তোতা অনেক বড়মাপের সাংবাদিক ছিলেন ।

সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মীর্জা সেলিম রেজা সাধারণ সম্পাদক গনেশ দাশ সহ সিনিয়র সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন মরহুম মিজানুর রহমান তোতা ছিলেন বড় মাপের এক জনপ্রিয় ট্রেড ইউনিয়ন নেতা। তিনি সাংগঠনিক কাজে একাধিকবার বগুড়ায় এসেছিলেন। বগুড়ার সাংবাদিকদের তিনি কাছের মানুষ ।

ঝিনাইদহ, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু শোক বার্তায় মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন। ভোলা, ভোলা জেলা ইনকিলাব ও সাংবাদিকের পক্ষ থেকে গভীর শোক, পরিবারের প্রতি সমবেদনা, ও মরহুমের রুহের মাঘফেরাত কামনা করেন তারা।

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) , গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কলারোয়ার ইনকিলাবের সংবাদদাতা এ্যাড, আব্দুল হামিদ, নয়া দিগন্তের সংবাদদাতা শামছুর রহমান লালটু, সংগ্রামের সংবাদদাতা খোরশেদ আলম, কলারোয়া রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি ইত্তেফাক সংবাদদাতা আজাদুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। বিবৃতিতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়েছে।

লোহাগড়া (নড়াইল), গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন দৈনিক ইনকিলাবের নড়াইল জেলা সংবাদদাতা আতিয়ার রহমান, লোহাগড়া উপজেলা সংবাদদাতা ও লোহাগড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড আবদুস ছালাম খান, সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম টিটো, লোহাগড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু আবদুল্লাহ, সমকাল প্রতিনিধি মো. রেজাউল করিম, সিনিয়র সাংবাদিক আকরামুজ্জামান মিলুসহ লোহাগড়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ।

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে, মাগুরা প্রেসক্লাব গভীর শোক প্রকাশ করে তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ খান প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার অধ্যাপক সাইদুর রহমান, সাংবাদিক এড, আরজু সিদ্দিকী, হোসেন সিরাজ এম এ হাকিম, খান শরাফত হোসেন অলোক বোস, শফিকুল ইসলাম শফিক, এড, সঞ্জয় রায় চৌধুরী, এড, মোখলেসুর রহমানসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।

সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, জমিয়াতুল মোদারর্রেছীনের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তা গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বলেছেন, সংবাদ ও সাংবাদিকতা বলতে মিজানুর রহমান তোতাকেই চিনতাম, জানতাম। তিনি ছিলেন, ইনকিলাবের ক্ষুরধার লেখক। সাংবাদিকতায় তিনি ছিলেন আপোষহীন। তাঁকে সমাজের দর্পণ হিসেবেই চিনতাম। তারা বলেন, মিজানুর রহমান তোতার মৃত্যুতে ইনকিলাবসহ আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ১৮ জুলাই, ২০২১, ২:০৪ এএম says : 0
    ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ