পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য বিশেষ ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা শুরু করেছে সরকার। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার, খুলনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসব ট্রেনে কোরবানির পশু পরিবহন করা হচ্ছে। একটি ট্রেনে ৪০০টি পর্যন্ত পশু পরিবহন করা যাবে। করোনার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে কোরবানির পশু কেনাকাটাতেই বেশি জোর দিচ্ছে। সারা দেশে সংক্রমণ ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এবার হাটে জমায়েত হওয়ার পরিবর্তে অনলাইন মাধ্যম থেকে পশু কেনার পরামর্শ দিয়েছেন।
এজন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ দেশের জেলা-উপজেলার অনলাইন হাটগুলোকে সম্পৃক্ত করে একটি প্ল্যাটফর্ম করেছে। ডিজিটাল হাট ডট নেট নামে এই প্ল্যাটফর্মে ১ হাজার ৭৫৩টি অনলাইন শপের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের ৬০২টি হাটকে যুক্ত করা হয়েছে। এসব হাটে গত ১৬ দিনেই ২ হাজার ১৪২ কোটি ৫৫ লাখ ৭ হাজার ১৬৮ টাকা মূল্যে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৯টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে।
গতকাল শনিবার একদিনেই অনলাইন হাটে ২৫ হাজার ৯৯২টি গরু-ছাগল/ভেড়া বিক্রি হয়েছে। তবে এর বাইরেও অনেকে ব্যক্তিপর্যায়ে অনলাইনে পশু বিক্রি করছেন। অনেক কৃষক ব্যক্তি উদ্যোগে, আবার কেউ কেউ কয়েকজন মিলে একেকটি হাটের আয়োজন করেছেন। খামারিদেরও রয়েছে পৃথক পৃথক অনলাইন পশুর হাট।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপপরিচালক (খামার) জিনাত সুলতানা বলেন, ১৬ দিনেই ২ হাজার ১৪২ কোটি ৫৫ লাখ ৭ হাজার ১৬৮ টাকা মূল্যে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৯টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার করোনা পরিস্থিতি খারাপ। তাই অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির সম্ভাবনাও বেশি। অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে গরু/মহিষ বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৯টি এবং ছাগল/ভেড়া ৫৮ হাজার ৯৭৭টি। পশু বিক্রির দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভাগ।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২ জুলাই শুরু হয়েছে অনলাইন হাট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন ঢাকায় ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) ডা. দেবাশীষ দাশ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে জনসমাগম এড়াতে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাকাটার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার রাজধানীতে ১৮টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০টি আর উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বসেছে ৮টি। এর বাইরে গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট ও সারুলিয়ার স্থায়ী পশুর হাটেও বেচাবিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর পশুর হাটগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ইজারাদারের নিয়োগ করা কর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও কিছু কিছু ক্রেতা ও বিক্রেতা মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছেন দেখা গেছে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন করোনাকালীন কোরবানির হাট ব্যবস্থাপনায় বেশ কয়েকটি শর্ত ইজারাদারদের দিয়েছে। এর মধ্যে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করা, তাপমাত্রা মেপে হাটের ভেতরে লোকজনকে প্রবেশ করাসহ নানা বিষয় রয়েছে। তবে হাট ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্তরা বলেন, পশুর হাটে যে পরিমাণ লোকসমাগম হয়, নানা বাস্তবতায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা তাদের জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।