রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমর নদীর ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না নেয়ায় এলাকাবাসী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উৎকণ্ঠা।
জানা যায়, উপজেলার পাইকের ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং পাইকের ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দুধকুমর নদীর ভাঙনের তীর থেকে মাত্র কয়েক ফুট দূরে রয়েছে। এছাড়াও হুমকিতে আছে পাইকডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আব্দুল করিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গনাইর কুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১নং চর ধাউরার কুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ চরভূরুঙ্গামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হেলোডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর ধলডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে দুধকুমর নদ ভাঙলেও বিদ্যালয়গুলো ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২নং পাইকের ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান ও অভিভাবক আজিজুল ইসলাম জানান, দুধকুমর নদীর ভাঙনের স্থান থেকে মাত্র কয়েক ফুট দূরে বিদ্যালয়টি। কয়েক বছর আগে পাইকের ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় ভয়াবহ নদী ভাঙন দেখা দিলে বিদ্যালয়টির দ্ধিতল ভবন নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ ভবনটি নিলামে বেচে সরিয়ে নেয়। গত বছরে পুনরায় নদী ভাঙন দেখা দিলে বিদ্যালয়ের অর্ধেক মাঠ বিলীন হয়ে যায়। উল্লেখ্য, পাইকের ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এ পর্যন্ত চারবার নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে।
বিদ্যালয়টির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাছিমা খাতুন, মাসুমা খাতুন ও প্রথম শ্রেনির ছাত্রী সিমা জানায়, নদী যদি স্কুলটি ভেঙে নিয়ে যায় তাহলে আমাদেরকে অনেক দূরে গিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। তখন আমাদের যাতায়াতের খুব কষ্ট হবে। এছাড়া স্কুলটিকে বর্তমান স্থান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিলেও এই এলাকার শিশুদের শিক্ষা অর্জনে সমস্যা হবে এবং অনেক শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সামাদ। অপরদিকে, হুমকির মধ্যে রয়েছে বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, গনাইরকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরভূরুঙ্গামারী, তিলাই ইউনিয়নের চর তিলাই, শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা, আন্ধারীঝার ইউনিয়নের ১নং চর ধাউরার কুঠি ও হেলোডাঙ্গা এবং পাইকের ছড়া ইউনিয়নের পাইকডাঙ্গা ও আব্দুল করিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দক্ষিণ চরভূরুঙ্গামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাজিয়া সুলতানা জানান, বিদ্যালয়টি কয়েকবার দুধকুমর নদের ভাঙনের শিকারে পরিণত হয়েছিল। এখন যে জায়গায় বিদ্যালয়টি আছে সে স্থানও নিরাপদ নয় বলে জানান তিনি। ১নং চর ধাউরারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম ও পাইকডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে দুধকুমর নদ ভাঙছে। নদী ভাঙনের সীমানা থেকে বিদ্যালয় দুটি ২০০ থেকে ৩০০ গজ দূরত্বের মধ্য চলে এসেছে। এ বছর কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, ২নং পাইকের ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামকে জানানো হয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে শিগগিরই জানানো হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের শিকার স্কুলগুলোর বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে আমাকে কেউ জানায়নি। তবে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।