পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এবার হাটের পরিবর্তে অনলাইন হাটে কোরবানির পশু কেনাকেই নিরাপদ মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্টরাও অনলাইন থেকে গরু-ছাগল কেনার জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজেরাও কিনেছেন কোরবানির পশু। সাধারণ মানুষও যেনো খুব সহজে এবং ন্যায্য মূলে গরু-ছাগল কিনতে পারেন সেজন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক-খামারিদের যুক্ত করে গড়ে তুলেছেন একটি প্ল্যাটফর্ম। যার মাধ্যমে ক্রেতারা দেশের যে কোন জেলা-উপজেলার কৃষকের পালন করা পশু ভিডিওর মাধ্যমে সরাসরি দেখতে পারেন, নিজেরাই কৃষকের সাথে কথা বলে দাম-দর করে কিনতে পারেন করা হয়েছে সেই ব্যবস্থাও। সরকারের এই উদ্যোগের সুফলও পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। হাটের পরিবর্তে এখন ডিজিটাল হাটেই ঝুঁকছেন তারা। গতবছর কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত যেখানে প্রায় ৭০ হাজার পশু অলাইনে বিক্রি হয়েছিল, এবার প্রথম এক সপ্তাহেই সেটি ছাড়িয়ে গেছে। ডিজিটাল হাট শুরু হওয়ার ১২ দিনে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৩টি পশু কিনেছেন ক্রেতারা। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৮ হাজার গরু-ছাগল বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। আগামী কয়েকদিন বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (খামার) জিনাত সুলতানা। তিনি বলেন, গত বছর ৯৪ লাখ ৫০ হাজারের মতো পশু কোরবানি হয়েছে। তার মধ্যে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার। এবার এখন পর্যন্ত ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৩টি পশু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার করোনা পরিস্থিতি খারাপ। তাই অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির সম্ভাবনাও বেশি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি, গত ২ জুলাই শুরু হয়েছে অনলাইন হাট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশন ঢাকায় ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে। আর গত মঙ্গলবার সবগুলো হাটকে একসাথে করে ফরমরঃধষযধধঃ.হবঃ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ১ হাজার ৮৪৩ টি অনলাইন শপের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের ২৪১টি হাট একটি প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে।
তবে এর বাইরেও অনেকে ব্যক্তি পর্যায়ে অনলাইনে পশু বিক্রি করছেন। অনেক কৃষক ব্যক্তি উদ্যোগে, আবার কেউ কেউ কয়েকজন মিলে একেকটি হাটের আয়োজন করেছেন। খামারিদেরও রয়েছে পৃথক পৃথক অনলাইন পশুর হাট। সরকারি উদ্যোগে রাজধানীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ডিজিটাল পশুর হাট, সারাদেশের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনলাইন হাট।
এসব হাটে এবার সর্বমোট ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬০টি কোরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৩টি ইতোমধ্যে বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গরু ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭২৯টি ও ছাগল/ভেড়া ৪৬ হাজার ২৬৪টি। ১২ দিনে ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে সর্বমোট এক হাজার ৫১১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮২২ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১২৫ কোটি টাকার কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে এই মাধ্যমে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ি, প্রায় প্রতিদিনই আগের দিনের বিক্রিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার অনলাইন হাটে ১৮৩ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার ২৮৬ টাকা মূল্যে ২৯ হাজার ৯৭টি পশু বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে গরু ২০ হাজার ৫৮৮টি ও ছাগল/ভেড়া ৮ হাজার ৫০৯টি।
অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির কার্যক্রম কীভাবে নজরদারি করা হচ্ছে জানতে চাইলে উপপরিচালক (খামার) জিনাত সুলতানা বলেন, খামারিরা আমাদের কাছে আসছেন অথবা খামারিদের নিজস্ব ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাঁরা পশুর তথ্য আপলোড করছেন। সারা দেশে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। তাদের মাধ্যমে খামারির আপলোড করা পশুর সুস্থতা, ওজন, দাম নজরদারি করছি। কেউ অসুস্থ পশু বা ভুল তথ্য দিলে তা সরিয়ে দিচ্ছি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) ডা. দেবাশীষ দাশ বলেন, করোনা আসার পরে অনলাইনে গবাদিপশু বিক্রি জোরদার হয়েছে। গতবারের তুলনা এ বছর অনলাইনে গবাদিপশু বিক্রির পরিস্থিতি ভালো। গতবারের তুলনায় মানুষ বেশি সচেতনও হয়েছে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।