পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্ত্রী হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত স্বামী আব্দুল আউয়ালকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ৬ সদস্যের আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ঘটনার পর ১৪ বছর কারাভোগের পর খালাসের আদেশ পেলেন তিনি। এর আগে মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি হয়।
আব্দুল আউয়ালের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট হেলালউদ্দিন মোল্লা। সরকারপক্ষ শুনানিতে অংশ নেন এটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। এডভোকেট হেলালউদ্দিন মোল্লা আদেশ সম্পর্কে বলেন, স্ত্রী হত্যার অভিযোগ থেকে স্বামী আউয়াল খানকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মূলত ওই হত্যার ঘটনায় কোনও প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিল না। স্বামীর কোন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও ছিলো না। এমনকি ঘটনার দিন স্বামী বাসাতেই ছিলেন না। তিনি ব্যবসার কাজে বাজারে ছিলেন। রাতে এসে দেখেন তার স্ত্রী খুন হয়েছেন। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আদালত আউয়াল খানকে খালাস দিয়েছেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে আউয়ালের স্ত্রী নার্গিস খুন হন। এ ঘটনায় নার্গিসের বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে একইদিন গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ নিহতের স্বামী আউয়াল খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়। কিন্তু রিমান্ডে কোনও স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য না পেয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলায় শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ২০ আগস্ট গাজীপুর অতিরিক্ত দায়রা আদালত আউয়াল খানকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন। পরে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামির জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি হয়। ২০১৪ সালে ২০১৪ সালে আউয়ালের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন আউয়াল। শুনানি শেষে উপরোক্ত আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।