পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আজ ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। তা আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর শুরু হয়েছে। ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে অফিস-আদালত, গণপরিবহন, জনসমাবেশ, শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট ১৪ দিনের জন্য বন্ধ। নিত্যপণ্যের কেনাকাটা সকাল ৯টা-৩টা। গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, গতকাল বুধবার মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল, দোকান-শপিংমল খুলে দেয়াসহ সব কার্যক্রম চলবে। তবে ঈদের একদিন পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের ১৪ দিনের জন্য শুরু হবে কঠোর বিধিনিষেধ, যা চলবে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সময় সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে, যা চলমান বিধিনিষেধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা আছে। এছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের গণপরিবহন, শপিংমল-মার্কেট ও দোকানপাট। আর কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের কেনাকাটা চলবে সকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এটা চলমান বিধিনিষেধে আছে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে চলাচলের সিদ্ধান্ত বিআরটিএ। গতকাল মধ্যরাত হতে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত চলাচলে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
আগামী ২১ জুলাই বুধবার দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে বিধিনিষেধ শিথিল করার আদেশে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ-পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। তবে এ সময়ে সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্কাবস্থায় থাকা এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। ওই প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৩টি শর্ত সংযুক্ত করে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে ২৩ ধরনের নির্দেশনা মানতে হবে। এগুলো হলোÑ সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। শপিংমল/মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে, সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে, জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করাসহ ২৩ নির্দেশনা আজ থেকে বাস্তবায়ন হচ্ছে। করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেলটা ধরনের বিস্তারে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য সরকার সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। দেয়া হয় ২১টি নির্দেশনা। এই সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া অন্য সব অফিস-আদালত বন্ধ, যান্ত্রিক যানবাহনে যাত্রী বহনও নিষিদ্ধ। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ, র্যাব, বিজিবির পাশাপাশি ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠে ছিল সশস্ত্র বাহিনী। জনসাধারণকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যেতে নিষেধ করা ছিল। রাস্তায় বেরিয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে করা হয়েছে গ্রেফতার-জরিমানা। এই বিধিনিষেধের পরও পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি, বরং আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড হয়েছে এর মধ্যে। এ সময় চলমান বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর পক্ষে সুপারিশ করে কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক পত্রের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে চলমান বিধিনিষেধ গতকাল মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত শিথিল করা থাকলেও এ সময়ে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। চিঠিতে বলা হয়, এ সময়ে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রে গমন ও জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান (যেমন- বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান) পরিহার করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।