পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোরবানির ঈদ ২১ জুলাই। সে হিসেবে আর মাত্র ৬ দিন বাকি। রাজধানীতে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ২১টি পশুর হাটে ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে কোরবানির পশু। বেশিরভাগ ট্রাকেই কোরবানির গরু ঢাকায় ঢুকছে। দুই একটি ট্রাকে ছাগল নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাকেই ১৫ থেকে ২০টি করে গরু রয়েছে। ট্রাকেই গরুর সঙ্গে আনা হচ্ছে খড় এবং গরুগুলো দেখভালের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষ। তবে কোরবানির পশুর ট্রাকে যারা আসছেন সেখানে মানা হচ্ছে না কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। এছাড়া কারো মুখে নেই মাস্ক। মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে মাস্ক পরা যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সারাবছর ব্যক্তি পর্যায়ে ও খামারিরা কোরবানির জন্য যে পশু পালন করেন, ব্যবসায়ীরা তা সংগ্রহ করে রাজধানীতে নিয়ে আসেন। আবার অনেক সময়ে কয়েকজন খামারি মিলে একটি ট্রাক ভাড়া করে নিজেরাই পশু আনেন রাজধানীতে। কারণ এর চাহিদা বেশি এবং ভালো দামও পাওয়া যায়।
টাঙ্গাইল থেকে গরু নিয়ে এসেছেন ইসমাঈল হোসেন। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল থেকে ২০টি গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। ৪টি গরু তার নিজের পালিত এবং বাকিগুলো তিন মাসে আগেই বায়না করে রেখেছিলেন গরুগুলো। গরুগুলো উত্তরার হাটে নিয়ে আসছি।
কুষ্টিয়া থেকে ৬ জন মিলে ১৭টি গরু নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। গাবতলী চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে তাদের একজন বলেন, গরুগুলো নিজেরাই লালন-পালন করেছি। পশুগুলো আফতাবনগর হাটের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছি। এলাকার তুলনায় ঢাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়। আশা করি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।
ব্যাপারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগ ব্যাপারীদের টার্গেট অভিজাত এলাকার মানুষ যেখানে গরু কিনবে সেই হাটে তারা গরু নিয়ে যাবেন। বড় গরুগুলো বড় হাটে নিয়ে যাবেন তারা। কারণ হিসেবে বলছেন, ছোট হাটে বড় গরু নিয়ে গেলে তা বিক্রি হয় না।
আপাতত ব্যাবসায়ীরা উত্তরা, আফতাবনগর, শনিরআখড়া, লালবাগ, খিলগাও এসব হাটে গরু উঠানোর প্রবণতা বেশি। ব্যবসায়ীরা উত্তরখানের মৈনারটেক ও দক্ষিণখানের আশিয়ান সিটিতে গরুর ট্রাক না ঢুকানোর কারণে ইজারাদারদের লোকজন রাতে আব্দুল্লাহপুর ও এয়ারপোর্টে ট্রাক জোর করে তাদের হাটে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আফতারনগর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি ট্রাক গরু ছাগল নিয়ে হাটে আসছে। খেড়ের গাদা করে রাখা হয়েছে গরু নামানোর জন্য। বেচাবিক্রি এখনো জমে উঠেনি। তবে অনেক দর্শনার্থী হাটে এসে পশু দেখতে ভীড় করছেন।
এদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ১৭ জুলাই থেকে কোরবানির পশুর হাট শুরু হবে। বিক্রির জন্য অপেক্ষায় সময় পার করছেন গরু নিয়ে আসা খামারি ও ব্যবসায়ীরা। গরুর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ গরুর জন্য খাবার তৈরি করছেন কেউবা গরুকে গোসল করাচ্ছেন। গরুর শরীর যাতে চকচকে দেখা যায়, সেজন্য সরিষার তেলও মাখানো হচ্ছে।
যশোরের অভয়নগর থেকে ইতিমধ্যে ৪৬টি গরু এনেছেন এক ব্যবসায়ী। লকডাউনের ভেতরে ঢাকায় আসতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। মাঝে মাঝে গ্রাহক আসছেন বলেও জানান। তবে তারা দরদাম করে চলে যাচ্ছেন।
হাট ডেকোরেটের কাজে দায়িত্বরত মোকাম্মেল হোসেন জানান, করোনার কারণে অনেক হাট কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই শাহজানপুর হাটে এবার ব্যাপক চাপ পড়তে পারে। শাহজাহানপুর হাটের ইজাদার কামরুজ্জাজামান বাবু বলেন, সরকার যেভাবে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে, তাতে আমরা সমস্যায় পড়ে যাব। কারণ অল্প সময়ে যখন বেশি গরু আসবে, তখন তো আর জায়গা দিতে পারব না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।