Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোরবানির ডিজিটাল ব্যবস্থাকে ব্যাহত করলে ব্যবস্থা : শ ম রেজাউল করিম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ৭:১১ পিএম

বুধবার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, অনলাইন পদ্ধতিতে বিক্রি হওয়া কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে যাদের প্রমাণাদি আছে, তাদেরকে যাতে পথে হয়রানি করা না হয়, সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘হয়রানি করলে সেটা চাঁদাবাজি হবে, ফৌজদারি অপরাধ হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। ‘আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বিপণনে বিকল্প বাজার ব্যবস্থাপনা এবং প্রাণীজ পণ্যের বিপণন বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা বাঙালিসহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোরবানি উদযাপন করতে গিয়ে যাতে আমরা বিপদ ডেকে না আনি সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহিত করছেন। সেটি বাস্তবায়নে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। সে কাজের প্রক্রিয়ায় যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে ধরে নেওয়া হবে করোনাকালে মানুষের সমাগম এড়িয়ে সুন্দরভাবে কাজ করার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এটা আমরা সিরিয়াসলি নেবো। কোরবানির ডিজিটাল ব্যবস্থাকে ব্যাহত করার কর্মকাণ্ডে কেউ সম্পৃক্ত হলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে আইনের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মো. তৌফিকুল আরিফ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান, সভায় অংশগ্রহণ করেন। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় মৎস্য দফতর ও প্রাণিসম্পদ দফতরের প্রধান, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি শমী কায়সার, জেলা ও উপজেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, গবাদিপশু ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এই সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা ১ কোটি ১৯ লাখ গবাদিপশুর একটিও অবশিষ্ট থাকবে না। অনলাইনে ২৫ শতাংশ গবাদিপশু বিক্রয় হবে বলে আমরা আশা করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাজারের নির্ধারিত এলাকার বাইরে পশু পরিবহন ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই হাসিল আদায় করা যাবে না। এটা নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনা সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিতে মানুষের পাশে আছে, বলেন মন্ত্রী। কোরবানির হাট-বাজারে যাতে চাঁদাবাজি বা ডাকাতি না হয় এজন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগে সম্পৃক্তদের নজরদারি বাড়ানোর জন্য এসময় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। সরকার এ বিষয়ে সহায়তা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসময় মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আপনাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম আশা করি। আমাদের কাজের জায়গা কোনোভাবেই স্থবির করা যাবে না। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। কোরবানি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতি নিতে হবে। বাজারে যাতে অসুস্থ বা রুগ্ন পশু বিক্রি না হয়, সে বিষয়ে ভেটেরিনারি সার্জনরা কাজ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ