পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে কাকরাইলে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন জি এম কাদের। তারপর নতুন কমিটি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘দল করার বিষয়ে আমাদের আপত্তি নেই। তবে একসঙ্গে দুটি দল কেউ করতে পারবেন না, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে এটা স্পষ্ট লেখা আছে।’
অনুষ্ঠানে জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এরশাদ না থাকলে জাতীয় পার্টি থাকবে না। আজ আমরা সে ভুল প্রমাণ করেছি। জাতীয় পার্টি একটি আদর্শ। জাপা সংসদে যেভাবে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে, আমার মনে হয় না এমনটা আর কেউ করতে পেরেছে। জাপার মহাসচিব জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু বলেন, জাতীয় পার্টি যেকোনো অবস্থায় মানুষের পাশে থাকবে। করোনার দুঃসময়ে মানুষকে বাঁচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু হোসেন বাবলা, মুজিবুল হক চুন্নু ও সাইফুদ্দিন মিলন প্রমুখ।
এর আগে সকালে বারিধারা প্রেসিডেন্ট পার্কে এক অনুষ্ঠানে জি এম কাদেরকে জাপার অবৈধ চেয়ারম্যান দাবি করে নতুন কমিটি প্রস্তাব করেন এরশাদপুত্র এরিক এরশাদ। কমিটিতে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান এবং সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিককে কো-চেয়ারম্যান, এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদকে কো-চেয়ারম্যান ও এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদকে জাপার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করার প্রস্তাব করেন। জাপার প্রস্তাবিত নতুন কমিটির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জি এম কাদের বলেন, ‘এটা আমরা জানি না। এটা আমরা গ্রহণ করি নাই।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক দল করার অধিকার যেকোনো মানুষেরই আছে। তবে কেউ একসঙ্গে দুটি দল করতে পারবেন না। কেউ দল করতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন দরকার হয়। সেটা না হলে নির্বাচন করতে পারবেন না।’
লকডাউনের সমালোচনা করে জি এম কাদের বলেন, এই লকডাউন কখনো কার্যকর হবে না। অসহায় দরিদ্র মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করেই লকডাউন দিতে হয়। গ্রামের মানুষ খাবার না পেলে কাজে বের হবে। তাই লকডাউন দেওয়ার আগে গরিব-দুঃখী-অসহায় মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে দাবি করে জিএম কাদের বলেন, টিকার অভাবে জনগণ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গ্রামের জনগণ টিকা পাচ্ছে না। সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার নেই, নার্স নেই, ওষুধ নেই। চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। কাদের বলেন, মেগা উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে। অথচ জনগণ চিকিৎসা, খাদ্য নিরাপত্তা পাচ্ছে না। মানুষ মারা যাচ্ছে আর সরকার উন্নয়নের কথা বলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।