‘সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ ছাত্রদের জন্য অনেক কাজ করে গেছেন। প্রাথমিক স্কুলের বই বিনামূল্যে বিতরণ, খণ্ডকালীন চাকরির ব্যবস্থা, জেলা পর্যায়ে স্কুল, কলেজ সরকারিকরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিব ও জিয়া হল নির্মাণ, বিকল্প কর্মসংস্থান, খুলনা ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ অনেক কাজ করেছেন। তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। ছাত্ররাই সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে পারে। তারা সাধারণত আবেগী হয়। এই আবেগ ভালো কাজে লাগালে তা দেশের জন্য সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে। বিপথে গেলে জাতি নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়বে।’- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এ মন্তব্য করেছেন।
জিএম কাদের বলেন, ছাত্রদের প্রথম এবং প্রধান কাজ হল- লেখাপড়া করা ও লেখাপড়ার পর জাতীয় প্রয়োজনে সংগঠনকে গড়ে তোলার জন্য কাজ করবে। আমরা ছাত্রদের লাঠিয়াল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই না। জাতীয় পার্টি সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চায়। দেশের মানুষ যখন পরিবর্তন চাচ্ছে, সে পরিবর্তন করার জন্য জাতীয় ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
সোমবার পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজের নবনির্বাচিত কমিটির সংবর্ধনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্র সমাজের সাবেক আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন।
জিএম কাদের বলেন, দলীয় লেজুরবৃত্তির রাজনীতি পরিহার করে জাতীয় ছাত্র সমাজকে ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল দিনে ফিরিয়ে নেয়ার নেতৃত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে ছাত্র সমাজকে আগামী দিনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য মেধা এবং নেতৃত্বের গুণাবলীও অর্জন করতে হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, জহিরুল আলম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ-ই-আজম, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার আহসান হাসান, যুগ্ম-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু।
উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ভাইস-চেয়ারম্যান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, যুগ্ম-মহাসচিব হাসিবুল ইসলাম জয়।