Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হুমকিতে আবাদি জমি ও বসতি

কুষ্টিয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ

এস এম আলী আহসান পান্না, কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিরহাট গ্রামে ফসলের জমিতে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বেশ কিছু ফসলি জমি অনাবাদিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু বাড়িঘর পানিবদ্ধতার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলার মাজিরহাট জিয়েলগাড়ী ও মহিষাদাড়ী গ্রামের মাঠের ৫-৭শ’ বিঘা ফসলি জমি রয়েছে। সেখানে বর্ষাকালে জমে থাকা বৃষ্টির পানি ওই গ্রামের রাস্তার কালভার্টের মুখ দিয়ে নিষ্কাশন হতো। হঠাৎ পানি নিষ্কাশনের খালটির কিছু অংশ জোরপূর্বক মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়। মাজিরহাট গ্রামের বাধপাড়া এলাকার মৃত জিন্দার আলীর ছেলে ঈদবার আলী, আ. হান্নান ও মান্নান তিন ভাই যোগসাজশে এ খাল ভরাট করে। যার ফলে মাঠের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় পানি জমে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া এতে জিয়েলগাড়ী ও মহিষাদাড়ী গ্রামের ঘরবাড়িও পানিতে নিমজ্জিত হয়। এতে ভোগান্তি বেড়েছে হাজারো পরিবারের।
কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিনের এ মাঠটির পানি নিষ্কাশনের জন্য এই হাজির খালটি ব্যবহার করা হতো। আমদের বাপ দাদাদের সময় থেকে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে। অথচ ঈদবার আলী, আ. হান্নান ও মান্নান এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা জোরপূর্বক খালের মাথার অংশ ভরাট করে দেয়। শুধু তাই নয়, সেই খাল থেকে ক্যানেলে পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি কালভার্টের এক অংশে মাটি ভরাট করে ধানের চারা রোপণ করেছে। একটু বৃষ্টিতেই পুরো মাঠের জমির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষক আয়নাল মন্ডল, লিয়াকত আলী মোল্লা, আইজেল মোল্লা বলেন, পানিবদ্ধতার কারণে ফসলি জমি অনাবাদি জমি হিসাবে পরিণত হয়েছে। এছাড়া মাঠে পানি বৃদ্ধির কারণে পানিবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন আশেপাশের এলাকার বেশ কিছু পরিবার। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
১নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মিরাজুল ইসলাম জোয়ার্দার বলেন, মাঠে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের জন্য একশো বছরের হাজি খালটি ব্যবহার করে আসছে কৃষকরা। কিন্তু হঠাৎ এ খালের কিছু অংশ ভরাটের ফলে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ফসল নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে আমরা বেশ কয়েকবার বলেও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। খাল বন্ধ করা আ. মান্নানের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে কুর্শা ইউপি চেয়ারম্যান ওমর আলী বলেন, বিষয়টি স্থানীয় লোকজন আমাকে জানিয়েছে। দ্রুত উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ