Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সচেতন হোন জীবন বাঁচান

করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ সবাইকে দলমত নির্বিশেষে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে : ওবায়দুল কাদের সংক্রমণ বাড়লে সারাদেশকে হাসপাতাল বানালেও কাজ হবে না :

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০৩ এএম

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা বাংলাদেশের মানুষকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার এই ভয়ঙ্কর ভ্যারিয়েন্ট। গণটিকা কার্যক্রম চলছে তারপরও প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। মৃত্যু ও সংক্রমণ দুটোই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৭৬৮ হাজার জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। যার শতকরা হার ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশ। এটা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড। এই সময়ে মারা গেছেন ২২০ জন। এরপরও মানুষের মধ্যে সচেতনতার বালাই নেই। এ অবস্থায় পবিত্র ঈদুল আজহা আসছে। কোরবানির পশু কেনাবেচার হাট বসেছে। লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। এখন সকলের উচিত সতর্ক হওয়া। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এ অবস্থায় মানুষকে নিজেদের সতর্কতা অতীব জরুরি। তাদের আহ্বান সচেতন হোন, জীবন বাঁচান। আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার চেয়ে নিজেকে রক্ষা করাই উত্তমপন্থা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের বসবাস গ্রামে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ ডেল্টা। সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। কিন্তু অতীতের মতো এসব রোগ এমনিতে ভালো হয়ে যাবেÑ এমন ধারণার পাশাপাশি সামাজিক বিড়ম্বনার ভয়সহ নানা কারণে উপসর্গ থাকার পরও অনেকে করোনা পরীক্ষা করছেন না। এছাড়া গ্রামের মানুষের মধ্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহারে উদাসীনতা দেখা গেছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী ১৫ জুলাই থেকে শিথিল করা হচ্ছে বিধিনিষেধ। তাই এখন প্রশ্ন উঠছে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে আরও ভয়াবহ হলে দীর্ঘদিন থেকে নানা সীমাবদ্ধতায় থাকা দেশের স্বাস্থ্য খাত রোগীদের সামলাবে কি করে?

জানতে চাইলে আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এখন যা পরিস্থিতি তা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে কোরবানির ঈদের সময়। গরুর হাট ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ঈদের পর গ্রাম থেকে শহরে আরও করোনা বয়ে আনবে। আর ঈদের আগে যাবে শহর থেকে। শহরে ছাড়িয়ে করোনা এখন গ্রামে দাপট দেখাচ্ছে। তারমতে, ঈদের সময় যাতে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, এটা দেখা প্রয়োজন। পাশাপাশি গ্রামে অধিকাংশ মানুষই মাস্ক পরছেন না। তাদেরকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে হবে।

এদিকে গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে করোনায় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা দেশের চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জাতির এ ক্রান্তিকালে মহামারি থেকে রক্ষায় দীর্ঘদিনের ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থার মধ্যেই নিজেদের উজার করে নিরবচ্ছিন্নভাবে মানুষকে সেবা দিচ্ছেন। কিন্তু কারো মুখে তাদের কাজের প্রশংসা বা পৃথক স্বীকৃতিও নেই। এমনকি মেলেনি অতিরিক্ত প্রণোদনা। বরং আমলাদের অত্যাচারে অনেক চিকিৎসক অতিষ্ঠ। করোনার সময় নিজেদের নিংড়ে দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে গুছিয়ে নিচ্ছেন, আর এমন সময়েই হঠাৎ নেমে আসছে বদলির খড়গ। চলমান লকডাউনেও এই বদলির খড়গ থেকে রেহাই পাননি চিকিৎসকরা।

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গ্রামে করোনার সংক্রমণ বাড়ার প্রবণতাকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন। তারা উপজেলা পর্যায়ে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সরবরাহ করাসহ চিকিৎসা সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে আরও উৎসাহ প্রদান করতে হবে। তারা বলেন, গ্রামের মানুষের সর্দি-কাশি-জ্বর হলে পরীক্ষা করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হলে সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমামসহ সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের কাজে লাগাতে হবে। প্রতিটি এলাকায় মাইকে কিংবা প্রতিনিধি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষা করতে হবে। মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবেন না এবং প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদের ইমাম করোনা প্রতিরোধের বষয়ে মুসল্লিদের সচেতন করবেন।

গত ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। চলবে কাল বুধবার ১৪ জুলাই পর্যন্ত। এরই মধ্যে ১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা এসেছে। লকডাউনের মধ্যেই দেশে মৃত্যু ও সংক্রমণ প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। সামনে ঈদুল আজহা। তাই এই সময়ে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে করোনা পরিস্থিতি কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অবশ্য বলেছেন, ঈদের সময় চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। গরুর হাটকে নিরুৎসাহিত করে অনলাইন হাটের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ঈদের সময় চলাচল এবং গরুর হাটে নিয়ন্ত্রণ আরোপের স্পষ্ট কোনো নীতিমালা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সারা দেশে গরুর হাট বসানোর পুরো প্রস্তুতি চলছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে এবার ১০টি গরুর হাট বসানোর প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে দক্ষিণে ১০টি এবং উত্তরে ১০টি।

সংক্রমণ কমাতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের কথা উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকরোনার এই সঙ্কটে জনগণকে বাঁচানোর জন্য বিএনপিসহ সবাইকে দলমত নির্বিশেষে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভাইরাস দলমত চিনে না। তাই বিষোদ্গার আর সমালোচনার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপিকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোরও কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইনকিলাবকে বলেছেন, সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। সংক্রমণ রোধ করতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে। অন্যথায় সারাদেশকে হাসপাতাল বানালেও কাজ হবে না। তিনি বলেন, সংক্রমণ গ্রামাঞ্চলে বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। আর গ্রামের মানুষ করোনাকে স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি ভাবছে। রোগীর পরিস্থিতি জটিল হলেই হাসপাতালে আসছেন, কিন্তু ততক্ষণে আর চিকিৎসকদের কিছুই করার থাকছে না। তিনি বলেন, প্রতিদিনই দেশের কোনো কোনো হাসপাতালে শয্যা, হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানোলা, আইসিইউ বেড, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, অক্সিজেন সিলিন্ডার বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে প্রতিদিন ৫০০-১০০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেÑ এভাবে চলতে থাকলে গোটা ঢাকা শহরকে হাসপাতাল করে ফেললেও রোগী রাখার জায়গা দেয়া যাবে না। তাই সংক্রমণ রোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে সবাইকে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অন্যথায় এ মহামারি রোধ করা কঠিন হবে বলে মনে করেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য জেলায় থেকে অনেক রোগী ঢাকায় চলে আসছে। অন্যান্য জেলায় যেমনÑ খুলনা, যশোর, রাজশাহী, রংপুরসহ প্রায় সব বিভাগ এবং জেলাগুলোতে নতুন করে আরও কিছু হাসপাতাল নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যেন আমরা বেডের সংখ্যা বাড়াতে পারি। শুধু বেড বাড়ালে চলবে না, আমাদের জনবলও লাগবে। বেড বাড়ানোরও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা তো পুরো দেশকে হাসপাতাল বানাতে পারব না। আমাদের সেটা বুঝতে হবে। বেড বাড়ালেও আবার জনবল কোথা থেকে পাবো। সেই চিন্তা করেও আমরা গত কয়েকদিনে চার হাজার নতুন চিকিৎসক ও চার হাজার নার্স নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এই করোনাকালীন সময়ে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার নতুন লোক কাজ করছে করোনার সেবাতেই।

২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ৪৪ হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ হাজার ৭৬৮ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্তের হারও এখন সর্বোচ্চ ৩১ ২৪ ভাগ। চিকিৎসকরা বলছেন, লকডাউন চললেও ঢিলেঢালা ভাব চলে এসেছে। বড় সড়কে যানবাহন চলছে না, এটা দেখে বাস্তব অবস্থা বোঝা যাবে না। কারণ রাজধানীর অধিকাংশ সড়কেই আগের মতো যানজট লেগে আছে, অলিগলিতে লোকজন আড্ডা দিচ্ছেন, আর গ্রামেও একই অবস্থা। স্বাস্থ্যবিধি অনেকেই মানছেন না এবং মাস্ক পরায় ব্যাপক অনীহা।

ডা. মুশতাক মনে করেন, এই লকডাউনে কতটা সংক্রমণ কমেছে তা ১৪ জুলাইর পর বোঝা যাবে। আর মৃত্যু কমছে কি-না তা বুঝতে ১৪ জুলাইয়ের পর আরো দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। আশা করি, কিছুটা সুফল পাওয়া যাবে। তবে আরো বেশি সুফল পেতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করে চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোরভাবে করতে হবে। সর্বোপরি করোনার ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে সবাইকে আরও অধিক সচেতন হতে হবে।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, ঈদের সময় সবকিছু ঢিলেঢালা হয়ে যায়, তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। তিনি মনে করেন, ঈদের সময় তাই কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। সেটা হলে এখনকার লকডাউনের কোনো ফলই স্থায়ী হবে না। সেটা করতে হলে গরিব মানুষকে খাদ্য আর অর্থ সহায়তা দিতে হবে। তা না হলে তাদের ঘরে আটকে রাখা যাবে না। তিনি আরো বলেন, ৫০ ভাগ বলা হলেও বাস্তবে মোট আক্রান্তের ৭০ ভাগ এখন গ্রামে। শুরুতে ঢাকা হটস্পট হলেও এখন প্রতিটি জেলা উপজেলাই হটস্পট। সীমান্তে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আটকাতে না পারায় এই পরিস্থিতি হয়েছে। গ্রামে অনেক রোগীর তথ্য আমাদের কাছে নেই। তারা হাসপাতালেও যাচ্ছেন না। টেস্টও করাচ্ছেন না। সর্দি-কাশি নিয়ে স্বাভাবিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই এবারের লকডাউনের উদ্দেশ্য হলো ঢাকায় যেন গ্রামের মানুষ আসতে না পারে। তবে তার ফল বুঝতে আরো সাত থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী সচেতন হলে লকডাউনে সংক্রমণ কমবে। কিন্তু সেটা শতকরা পাঁচ ভাগের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। তাদের মতে, সেটা করতে হলে লকডাউন অব্যাহত রাখতে হবে। ঈদকে বিবেচনা করলে চলবে না। যদি ঈদের সময় ঢিলেঢালা হয়ে যায়, তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। বাংলাদেশে গড়ে এখন প্রতিদিন ১৩ হাজার আক্রান্ত হন। কিন্তু তাদের মধ্যে হাসপাতালে যান পাঁচশর মতো। বাকি যারা বাড়িতে থাকেন, তাদের ব্যাপারে মনিটরিং নেই। সেই কারণেও সংক্রমণ বাড়ছে। করোনা কার্যকরভাবে ঠেকাতে হলে গণটিকার কোনো বিকল্প নেই।



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ১৩ জুলাই, ২০২১, ২:২৩ এএম says : 0
    পাগলামির জায়গা নেই একদিকে বলতেছে জীবন বাঁচান,অন্য দিকে বিদেশ থেকে একান্ত হয়ে আসলেও অসুবিধা নেই,কোয়ারেনটিতে রাখবে বলে বিমানের টিকিট এর সাথে হোটেল বুকিং দিয়ে থাকে,হোটেলে নিয়ে সেখান থেকে ঘুষ খাইয়া ছেড়ে দেয়,এয়ারপোট হোটেল এর নাম দিয়ে গাড়িতে করে বিমান বন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে টাকা খাইয়া ছেড়ে দেয়,এই তদন্ত কে করবে,যদি তদন্ত করে দেখার কেউ থাকে তদন্ত করতে পারেন,শুধু 10/7/2021ইং দিনগত রাতে ওমান থেকে যে সমস্ত যাত্রী ওমান এয়ারে গিয়েছে তারা কোথায় হোটেলে না কি সিদা বাড়িতে গেছে তাই দেখলে চলবে,কিন্তু কে দেখবে দেশে কি সরকার আছে,আইন আছে কিছুই নাই ,সব ঘুষখোর কুততার বাচচারা,আমি তেদের কুততার বাচচা বললাম দেখি সাহস তদন্ত করে দেখ আমরা সত্য বললাম না কি মিথ্যা বললাম,অথচ যে সমস্ত যাত্রী টিকা দিয়ে দেশে গিয়েছে তাদের হোটেলে রাখিয়াছে,আর যারা টিকা মোটেই দেয় নাই,তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে অথচ হারমজাদারা বলতেছে জীবন বাঁচান,যত সব অপদার্থ।
    Total Reply(0) Reply
  • কামরুল ইসলাম ১৩ জুলাই, ২০২১, ২:৩৬ এএম says : 0
    তারমানে ১৫ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত করোনা ঈদ করতে শ্বশুর বাড়ি যাবে। ঈদ শেষ হবার পর আবার ফিরে আসবে। এ থেকে বুঝা যায়, এতোদিন লকডাউন করোনা উপদ্রব কমানোর জন্য দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে আর্থিক অনটনের কারণে যাতে নিম্ন আয়ের মানুষও কুরবানি'তে শরীক হতে না পারে। যাহা হউক, অন্তত শান্তিতে ঈদ করতে দেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Rayhanul Islam Jibon ১৩ জুলাই, ২০২১, ২:৩৬ এএম says : 0
    তাই নাকি, তো এই এক সপ্তাহের জন্য করোনা কোথায় যাবে, আর এক সপ্তাহ পর আবার কোথা থেকে করোনা চলে আসবে, করোনা কি সরকার নিয়ন্ত্রণ করে,নাকি??
    Total Reply(0) Reply
  • Rafiqul Islam Rafiq ১৩ জুলাই, ২০২১, ২:৩৬ এএম says : 0
    যে সব গা‌ড়ির স্টাফ বা মা‌লিকপক্ষ স্বাস্থ‌বি‌ধি মান‌বেনা তা‌দের ড্রাই‌ভিং লাই‌সেন্স এবং রুট পা‌র্মিট বা‌তিল করা উ‌চিৎ , তাছাড়া এ‌দের নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয় !
    Total Reply(0) Reply
  • SH A TI ১৩ জুলাই, ২০২১, ২:৩৭ এএম says : 0
    লকডাউন কি,কত প্রকার, তা কোন কোন সময় কাজে লাগাতে হয়,,কখন কঠোর, কখন শিথিল..তা আমাদের দেশে সম্ভব। আসলে কি লকডাউন ভাইরাস বেশি হওয়ার জন্য দেয়,নাকি ভাইরাস এর বাড়ানোর কথা বলে লকডাউন অন্য কোন উদ্দেশ্য ব্যবহার করা হয়
    Total Reply(0) Reply
  • Shariful Alam Rubel ১৩ জুলাই, ২০২১, ২:৩৭ এএম says : 0
    কমপক্ষে ২৫ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হোক। কারণ, যাঁরা ঈদে গ্রামের বাড়ি যাবেন তাঁরা যাতে কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয়ে নিশ্চিন্তে কর্মস্থলে ফিরতে পারেন। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Iqbal Hossain Khokon ১৩ জুলাই, ২০২১, ২:৩৭ এএম says : 0
    লক ডাউন দেয়ার যে উপকারিতা হত এই শিথিলতা ঘরে ঘরে করোনা প্রবেশ করবে, আমার মনে হয় উপদেষ্টা কমিটির মাথায় গন্ডোগোল আছে,
    Total Reply(0) Reply
  • ???????????????????? ???????????????????? ১৩ জুলাই, ২০২১, ২:৩৮ এএম says : 0
    আমাদের মাস্ক ব্যবহার করেই করোনাভাইরাস মোকাবিলা সম্ভব না কার যদি না হাত অপরিস্কার থাকে করোনাভাইরাস ছড়ায় হাতের মাধ্যমেও আর হাতের ব্যবহার আমাদের বেশিরভাগ হয়ে থাকে
    Total Reply(0) Reply
  • Piash Psc ১৩ জুলাই, ২০২১, ২:৩৮ এএম says : 0
    ভালো সিদ্ধান্ত সরকারকে সাধুবাদ জানাই।লকডাউন দিয়ে মানুষকে অাটকানো যাবে না,এই বেপারে অামি অনেক অগেই বলছি।সরকার তার ব্যর্থতা ঢাকতে লকডাউন। টীকা দিতে পারে নাই তারা, এতো দিনে ৩-৪ কোটি টীকা দেওয়া হয়ে যেতো।এখনো সময় থাকতে টীকা দেন,তানা হলে প্রতিদিন ৪০০-৭০০ লোক মারা যাবে,যতোই লকডাউন অার শাট ডাউন দেন কাজ হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১৩ জুলাই, ২০২১, ১০:২৬ এএম says : 0
    কি হওয়া প্রযোজন ছিল কি হচ্ছে? কি করার জরুরী ছিল কি করা হচ্ছে? মানুষের জীবন বাচানোর দায়িত্ব সরকারের। সর্বোচ্চ আক্রান্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর ভয়াবহ মৃত্যুপুরীর পরিণতির দিকে যাচ্ছে দেশ। সরকার পক্ষে ঘোষণা আসছে আগামী এক সপ্তাহে জন্যে সবকিছুই স্বাভাবিক করে দিচ্ছেন সরকার এটি ইদুল আযহা পশু কোরবানী জন্যে নাকি বাংলাদেশের মানুষের কোরবানির জন্যে সময় বলেদিবেন?পরিস্থিতি ভয়ানক সরকার হতাশ মানুষের আচরণে।আইজিপি মহোদয়ের মুল‍্যবান কথা। আপনি ঘরে থাকবেন না কবরে থাকবেন আপনাকে ঠিক করতে হবে। এবার সবাই কে স্বাধীনতা দিয়েছেন পশু কোরবানির লাখ লাখ মানুষের জীবিকার স্বাধীনতা। ভাইরাস কে এক সপ্তাহের আক্রান্তের স্বাধীনতা। সরকার দীর্ঘদিনের ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করেছিলাম মানুষের জীবন বাচানোর জন্যে। গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাক্তিরা বলেছিলেন জীবিকার চায়তে জীবন আগে। ভাইরাসের ভয়ংকর আক্রমণ তীব্রতর কঠিন পরিস্থিতি যখনই প্রযোজন ছিল। জীবিকার চায়তে জীবনের গুরুত্ব এবং দেশ ব‍্যাপি কারফিউ অনিবার্য ছিল। পরিবর্তে উল্টাপাল্টা হয়ে গেল। এখন পবিত্র ইদুল আযহা ত‍্যাগের নবী ইব্রাহিম(আঃ) সুন্নত পশু কোরবানীর সময় মহামারীর মধ্যে। গতকাল চৌদ্দ হাজার আক্রান্ত।হাজার আক্রান্ত মানুষ রিপোর্টের বাহিরে এবং সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডের পর রেকর্ড হচ্ছে ঠিক তখনই সরকার মানবিক সিদ্ধান্তে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় আল্লাহ্ জানেন।অদৃশ্য ভাইরাসের তীব্রতা একদিকে। সরকারের সিমাবদ্ধতা অর্থনীতি একদিকে। মানুষের পবিত্র ইদুল আযহার পশু কোরবানী একদিকে। মানুষের জীবন জীবিকার অর্থ প্রাপ্তী একদিকে।আল্লাহ্ কঠিন পরিস্থিতি সময় কঠিন পরিক্ষার সময় অদৃশ্যের মালিক আল্লাহ্ আপনি। আমাদের দয়া রহম করুন আমাদের ক্ষমা করুন। মহাবিপদে মহামারীতে আমাদের দেশ আপনি আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Dadhack ১৩ জুলাই, ২০২১, ৯:৫৮ পিএম says : 0
    O'Allah save us and wipe out all the criminals from our beloved country by corona. Ameen
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ