পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদেশগামী কর্মীরা করোনা টিকা দিতে গিয়ে নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে চরম ভোগান্তির কবলে পড়েছেন। টিকা দেয়ার বুথ বৃদ্ধি না করায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে করোনার টিকা দিতে কর্মীদের গলদঘর্ম। গতকাল সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিদেশগামী কর্মীদের টিকা দিতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিদেশগামী কর্মী বলেন, তিন ঘণ্টা যাবত দাঁড়িয়ে থেকে টিকা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছি না। মেডিক্যালের কর্তৃপক্ষ টিকা দেয়ার বুথ বাড়ালে বিদেশগামী কর্মীরা অনেকটা ভোগান্তি ছাড়াই টিকা দেয়ার সুবিধা পেত। তিনি অবিলম্বে বিদেশগামী কর্মীদের টিকা দেয়ার ভোগান্তি নিরসনে হাসপাতালগুলোতে একাধিক বুথ বাড়ানোর জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রাপ্তির তালিকায় বিদেশগামীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চীনের উপহার দেয়া সিনোফার্মের টিকা তাদের দেয়ার কথা। দেশের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের নির্দিষ্ট কেন্দ্রে দেয়া হবে এই টিকা।
টিকার নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের আগেই গত ২৯ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঘোষণা দেন, সাতটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে প্রবাসী কর্মীদের। এ ঘোষণার পর সহস্রাধিক প্রবাসী ওই সাত কেন্দ্রে হাজির হন। কিন্তু সেখানেও দেয়া হয়নি টিকা।
এরপর গত ১ জুলাই প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কিছু কর্মীকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে এনে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। যদিও উদ্বোধনের পর আর কোনো প্রবাসী কর্মীকে টিকা দেয়া হয়নি।
২ জুলাই টিকা নিবন্ধনের প্রথম দিনেই সার্ভার জটিলতায় ভোগান্তিতে পড়েন প্রবাসী কর্মীরা। অ্যাপে নিবন্ধন করতে না পেরে অনেকে চলে যান ঢাকা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ে। সেখানেও সার্ভার জটিলতায় নিবন্ধন করা যায়নি। পরে প্রবাসী মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে টিকা নিবন্ধন কার্যক্রমের সার্ভার জটিলতা নিরসন হয়। গতকাল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত জানুয়ারি থেকে গত ১১ জুলাই পর্যন্ত ৩ লাখ ৪০ হাজার ৮শ’ ২১ জন কর্মীর নিবন্ধন চূড়ান্ত করে সুরক্ষা অ্যাপে তালিকা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ১১ জুলাই সারা দেশের ৫৩টি কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৯শ’ ৩৫ জন বিদেশগামী কর্মী টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।