লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী দুই ছেলেসহ আবদুর রব ব্যাপারী নামের আ.লীগ এক নেতাকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রামগতি উপজেলার সঙ্গে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিছু প্রভাবশালীর ইন্ধনে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাকে ফাঁসিয়েছেন।

আবদুর রব ব্যাপারী উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি এবং স্থানীয় টাঙ্কিবাজার মাছঘাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি। গত রোববার রামগতি উপজেলা সাংবাদিক ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে তার পরিবারের সদস্যরা।

লিখিত অভিযোগে আবদুর রবের পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত শুক্রবার ভোরে কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের হাতিয়া স্টেশনের একদল সদস্য রামগতি উপজেলার চরগাজী এলাকায় আবদুর রব ব্যাপারীর বাড়িতে অভিযান চালান। এসময় কোস্টগার্ড আবদুর রব এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী তার দুই ছেলে আবদুর রহিম ও মো. রবিনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ডাকাতি প্রস্তুতি, গোলাগুলি ও অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগ এনে তাদের তিনজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, আ.লীগ নেতা আবদুর রব ব্যাপারী মাছঘাট পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি চুরি-ডাকাতি বা অপরাধমূলক কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আবদুর রব ব্যাপারীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম, ভাই আবদুল মুনাফ ও ভাতিজি রোকেয়া আক্তার। তারা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং মামলা প্রত্যাহারসহ আবদুর রব ব্যাপারী ও তার দুই ছেলের মুক্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এ এস এম লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনার দিন ভোরে টাঙ্কিবাজার এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সংবাদ পেয়ে তারা অভিযান চালায়। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষার্থে কোস্টগার্ডও পাল্টা গুলি ছোড়ে। অভিযানের নাটক সাজিয়ে ওই তিনজনকে ফাঁসানোর দাবি সত্য নয় বলে জানান তিনি। রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, ঘটনাটি শুনে গত শুক্রবার বিকেলে তিনি রামগতির চরগাজী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তবে, ডাকাতি বা গোলাগুলির কোনো তথ্য তিনি পাননি। তিনি বলেন, আবদুর রব ব্যাপারীর বিরুদ্ধে চুরি বা ডাকাতির কোনো অভিযোগ আমরা কখনো পাইনি।