Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈশ্বরগঞ্জ-আঠারবাড়ি সড়কের কাজ আটকে গেল

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বাধা

আতাউর রহমান, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে রাস্তা পাকাকরণের কাজে সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা বাঁধা দেয়ায় ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে রাস্তার নির্মাণ কাজ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, উপজেলার আঠারোবাড়ি ইউনিয়নের মৃগালী গ্রামে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার পাকাকরণে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রাস্তাটি ঈশ্বরগঞ্জ-আঠারবাড়ি সড়কের মৃগালী মোড় হতে মৃগালী সিরাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত। ৬ মাস আগে (এমআরআরআইডিপি) প্রকল্পের অধিনে ৫৬ লাখ ৬৫ হাজার ৭৯৪ টাকা ব্যায়ে মেসার্স নিতি এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তাটির পাকাকরণের কাজ শুরু করে। রাস্তাটির ৪২০ মিটার কাজ সম্পন্ন করার পর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) শহীদুল্লাহ রাস্তা দখল করে টিনের দু’চালা ঘর ও বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তার বাকি অংশ আটকে দেয়। বর্তমানে রাস্তাটিতে বর্ষার পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে পরায় রাস্তায় হেঁটে যাওয়ারও উপায় নেই। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ওই রাস্তা দিয়ে আনা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। রাস্তাটির কাজ দ্রুত শেষ না হলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে মৃগালী সিরাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীও। রাস্তাটির কাজে বাঁধা দেয়ায় গ্রামের লোকজন স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেয়। পরবর্তিতে চেয়ারম্যান জুবের আলম রুপক রাস্তার মধ্য থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দিতে এবং কাজে বাঁধা না দিতে শহীদুল্লাহকে বলেন। কিন্তু প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও শহীদুল্লাহ রাস্তা থেকে তার অবৈধ স্থাপনা না সরিয়ে বাঁধা দেয়। এমন অবস্থায় রাস্তাটির অর্ধেক কাজ শেষ করে আটকে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী আব্দুল হাই জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই কাঁচা রাস্তা দিয়েই চলাচল করছে গ্রামের লোকজনসহ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু এখন পাকাকরণের কাজ শুরু হয় এবং অর্ধেক রাস্তার কাজ শেষ এমন সময় শুধু গায়ের জোরে দারোগা শহীদুল্লাহ বাঁধা দেয়ায় কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার কিছু অংশ পুনঃরুদ্ধার করে কাজটি দ্রুত শেষ করতে প্রশাসনের কাছে জোড় দাবি তাদের।

রাস্তার কাজে বাঁধা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে শহীদুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তাটির যে অংশ টুকু আমার জায়গা দিয়ে হচ্ছে, আমি তাতে বাঁধা দিয়েছি। আমার জায়গার ওপর দিয়ে আমি রাস্তা করতে দিবো না।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তৌহিদ আহম্মেদ জানান, স্থানীয় শহীদুল্লাহ নামক একজন বাঁধা দিলে তাকে বুঝিয়ে বলার পরও সে আমাদের কথা না মেনে পুনরায় কাজে বাঁধা দেয়। এখন বাঁধাকৃত অংশটুকুর কাজ বন্ধ রয়েছে।

আঠারোবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুবের আলম রুপক জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটির কাজে শহীদুল্লাহ নামের এক ব্যাক্তি বাঁধা দিয়েছেন। তাকে অনেক বুঝানো হয়েছে কিন্তু তিনি তা বুঝতে চান না। এক ব্যক্তির বাঁধার কারণে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাবে এটা মেনে নেয়া যায় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ