পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে আজ সোমবার থেকে প্রয়োগ করা শুরু হবে চীনের সিনোফার্মের টিকা। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে দেওয়া শুরু হবে কোভ্যাক্স উদ্যোগ থেকে পাওয়া মডার্নার টিকা। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানান। বুলেটিনে বলা হয়, গতকালই সারাদেশের টিকা কেন্দ্রগুলোতে সিনোফার্মের টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর আজ রাতেই সিটি করপোরেশনের ভেতরের টিকা কেন্দ্রগুলোতে মডার্নার টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে। আশা করছি আজ সোমবার থেকে সারাদেশে সিনোফার্ম এবং কাল মঙ্গলবার থেকে মডার্নার টিকা প্রয়োগ শুরু করতে পারব।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ্য থেকে শামসুল হক বলেন, কাল থেকে মডার্নার টিকার মাধ্যমে সব সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পাশাপাশি সিনোফার্মের টিকা সারাদেশের সব জেলা এবং উপজেলায় সাধারণ মানুষ নিতে পারবেন। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের টিকা দিতে আগেই আমরা সিনোফার্মের টিকা পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এখন যেহেতু গণটিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে, তাই জেলাগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ফাইজারের যে এক লাখ ডোজ টিকা পেয়েছিলাম, সেগুলো দিয়ে আমরা চারটি মেডিকেল কলেজ এবং তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতালসহ ঢাকার মোট সাতটি কেন্দ্রে কার্যক্রম শুরু করেছি। এই সাতটি হাসপাতালে এখন ফাইজারের টিকার কার্যক্রম চলবে। এই কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে তারপর এসব কেন্দ্রে মডার্নার টিকা কার্যক্রম চালু হবে।
প্রবাসীদের টিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রবাসীদের শুধুমাত্র ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন থেকে সারা দেশের যেকোনো মেডিকেল কলেজ থেকেই তারা টিকা নিতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বাইরে পড়াশোনা করেন। তাদের টিকা এখনই প্রয়োজন। আমরা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
এদিকে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি করুণ হয়ে যাবে। আর তাতে করে বিপদে পড়তে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ শঙ্কা প্রকাশ করে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, বর্তমান ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমে মৃত্যু শুধু বয়স্ক মানুষের হচ্ছে না, তরুণদেরও হচ্ছে।
অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, গত মাসে সারা দেশে সংক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল। গত মাসে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন রোগী সংক্রমিত হয়েছেন। শুধু জুলাইয়ের প্রথম ১০ দিনে প্রায় এক লাখ রোগীকে সংক্রমিত হতে দেখতে পেয়েছি। আমরা যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছি, হাসপাতালে রোগীর চাপ যদি বাড়তেই থাকে, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালের শয্যা আর খালি থাকবে না।
তিনি বলেন, সারা দেশে গত মাসেও অসংখ্য বেড এবং আইসিইউ খালি ছিল। সেই খালি বেডের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে মাত্র ৩০০ এর মতো কোভিড-১৯ আইসিইউ বেড খালি আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ হয়ে যাবে। সংক্রমণের হার এভাবে চলতে থাকলে এক দিনে ১৫ হাজার শনাক্ত হতে বেশি সময় লাগবে না। আর তাতে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সবাইকে বিপদে পড়তে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।