পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গোপসাগরে গতকাল একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটির অবস্থান দক্ষিণ ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও দক্ষিণ ওডিশা উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং এর সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায়। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের উপকূল হয়ে অগ্রসর হতে পারে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এই লঘুচাপের তেমন প্রভাব নেই।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বর্ষার বাহক মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয়। বাংলাদেশ উপকূলভাগ সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের অনেক জায়গায় ভ্যাপসা গরম পড়ছে। আষাঢ় মাসের শেষ প্রান্তে এসে আপাতত বৃষ্টি ঝরছে কম। তবে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ফেনীতে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ৩৪.৮ এবং সর্বনিম্ন ২৭.৫ ডিগ্রি সে.। দেশের অধিকাংশ জেলায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রিরও ঊর্ধ্বে। অন্যদিকে অধিকাংশ স্থানে গতকালসহ তিন-চার দিনে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্তভাবে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৭৫ মিলিমিটার। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও সাময়িক ও বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা থাকতে পারে। মৌসুমী বায়ুর বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
নদ-নদী পরিস্থিতি
দেশের নদ-নদীসমূহের পানি অধিকাংশ স্থানে আপাতত হ্রাস পেয়েছে। কোথাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, কোথাও স্থিতিশীল রয়েছে। অনেক গ্রাম-জনপদে নদীভাঙনে দিশেহারা নদীপাড়ের হাজারো পরিবার। পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০৯টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৪১টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৬৩টিতে হ্রাস পায়। ৪টি স্থানে অপরিবর্তিত থাকে। শনিবার নদ-নদীর ৩৪টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৭০টিতে হ্রাস পায়। ৪টি স্থানে পানি অপরিবর্তিত ছিল। শুক্রবার ৫৩টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৫৩টিতে হ্রাস পায়।
নদ-নদীসমূহের প্রবাহ পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে পাউবো জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদে পানি হ্রাস পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। কুশিয়ারা ব্যতীত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকায় নদ-নদীসমূহের পানি স্থিতিশীল আছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
গতকাল বিকাল পর্যন্ত পাউবোর তথ্য মতে, উত্তর জনপদে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২ সে.মি. নিচে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় উজানে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে আগরতলায় ৭২, দার্জিলিংয়ে ৬৮ মি.মি. বৃষ্টি হয়। এ সময়ে দেশের অভ্যন্তরে স্বল্প বৃষ্টিপাত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।