পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তালপাকা গরমকালের ভাদ্র মাস পড়েছে দ্বিতীয় সপ্তাহে। গতকাল (শুক্রবার) দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরফলে অসহনীয় ভ্যাপসা গরমের মাত্রা গত সপ্তাহের তুলনায় কমে এসেছে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বর্ষার মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়, বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পশ্চিমা এই লঘুচাপটি বঙ্গোপসাগরের মেঘ শুষে নিলে বাংলাদেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কমে যাবে। এমনকি বেড়ে যেতে পারে তাপদাহ। গত সপ্তাহেও পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে বৃষ্টিপাত হ্রাস পায়। বেড়ে যায় তাপদাহ।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবকটি বিভাগে বৃষ্টিপাত হলেও মাত্রা ছিল কম। সর্বোচ্চ বর্ষণ সাতক্ষীরায় ৩৮ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাত্র ২, সিলেটে ৩১, রাজশাহীতে ৫, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ শহরে মাত্র এক মি.মি. করে বৃষ্টি ঝরেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নিকলিতে ৩৫.৭ ডিগ্রি সে.। ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৩ এবং ২৭.৩ ডিগ্রি সে.।
আজ (শনিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস মতে, রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরের ৫ দিনে আবহাওয়া পরিবর্তন হতে পারে।
নদ-নদী প্রবাহের পরিস্থিতি
ভারতের উজান থেকে আসা পানিতে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অববাহিকার উজানভাগ ভারতের উত্তর প্রদেশসহ মধ্যাঞ্চল ও নেপালে ভারী বর্ষণ হচ্ছে।
গতকাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানা গেছে, গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদী অববাহিকায় এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় গঙ্গা-পদ্মা এবং উক্ত দুই অঞ্চলের নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি হ্রাস পাচ্ছে।
বাংলাদেশ এবং ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের উত্তর প্রদেশ, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
নদ-নদী প্রবাহের অবস্থা সম্পর্কে গতকাল বিকেল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গঙ্গা নদীর পানি পাংখা, রাজশাহী ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এ তিনটি স্থানে বিপদসীমার যথাক্রমে ২০২, ২২৭ এবং ১৮১ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছিল। তাছাড়া গঙ্গার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানিও বেড়ে চলেছে। পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ, ভাগ্যকূল ও সুরেশ্বর পয়েন্টে ৯৯, ১১৫ ও ৮৬ সে.মি. নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে গতকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পায়নি। তবে কোথাও কোথাও স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদের পানি কমতির দিকে রয়েছে।
দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর ৯৩টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৩৩টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি এবং ৬৮টি পয়েন্টে হ্রাস পায়। এখন পর্যন্ত কোনো নদ-নদী বিপদসীমার ঊর্ধ্বে নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।