পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দফা সময় বৃদ্ধি ও আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কারফিউ জারির পরামর্শের পর থেকে ঘাটে উভয়মুখী বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় কোনোভাবেই থামছে না। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই গতকাল ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই যাত্রীরা ফেরিতে নদীর স্রোতের মতো বাড়ি ফিরছেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র পক্ষ থেকে বন্ধ ঘোষণার পরও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটের ফেরিতে থামছে না যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপার। পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেল, ছোট ছোট যানে ভেঙে ভেঙে পায়ে হেটে ঘাটে আসছে মানুষ। ঘাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আর কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
গত শুক্রবার বিআইডব্লিউটিসি থেকে বন্ধের নির্দেশনার পরেও গতকাল সকাল থেকে শত শত যাত্রী ও যাত্রীবাহী গাড়ি ফেরিতে পদ্মা পার হতে দেখা গেছে। ফেরিতে গাদাগাদিতে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি।
শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, আসন্ন ঈদুল আজহা ও দ্বিতীয় দফা লকডাউনের সময় বৃদ্ধিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে ঘাটে পৌঁছাচ্ছে। এরপর নির্দেশনা উপেক্ষা করে ফেরিতে নদী পার হচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৬টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে ১০টি চলাচল করছে। যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে। জরুরি প্রয়োজনে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে ঢাকা থেকে সড়কপথে পুলিশের চেকপোস্ট উপেক্ষা করে যাত্রীরা ঘাটে আসছে। তাদের ফেরিতে উঠা থামানো যাচ্ছে না। তাই এখন যেসব যাত্রীরা ঘাটে আসছে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য উৎসাহিত করা করা হচ্ছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ নেই। দেড় শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় আছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসার ব্যাপারে তিনি জানান, ডিএমপি থেকে ৮টি চেকপোস্ট হয়ে শিমুলিয়া আসতে হয়। ব্যক্তিগত গাড়ি বলতে যারা অতি জরুরি প্রয়োজনে বাহির হয় যেমন লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সাথে আবার অনেকে বিদেশ থেকে আসা যাত্রী।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঢাকা ফেরত যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। সরকার ঘোষিত লকডাউনে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘরমুখো মানুষের চাপ।
গতকাল দুপুরে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে ছিল ব্যক্তিগত গাড়ি, অ্যা¤ু^লেস্ব ও পণ্যবাহী ট্রাক এবং যাত্রী। ফেরিতে থাকা যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউ। দেখা যায় গাদাগাদি করে একজনের গাঁ ঘেষে আরেকজন দাঁড়িয়ে আছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সিহাব উদ্দিন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই রুটে ছোট ফেরি ৩টি ও বড় ফেরি ৫টি চলাচল করছে। জরুরি সেবার অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক এবং ব্যক্তিগত কিছু গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। তবে ঢাকা ফেরত যাত্রীদের চাপ বাড়ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিআইডব্লিউটিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ জুলাই থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। এ সময় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।