বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নিখোজের একদিন পর শিশু জাকিয়া ধর্ষন ও হত্যা’র মূল আসামীকে আটক করেছে দিনাজপুরের ডিবি পুলিশ। শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে সুমন চন্দ্র দাস নামের যুবক। কেবলমাত্র অপমানের প্রতিশোধ নিতেই ধর্ষনের পর হত্যা করে জাকিয়া আক্তারকে মাটি চাপা দেয় সে।
৪ জুলাই সকাল ১০টায় কাহারোল উপজেলার বনড়া গ্রামের একটি বিলের পাশে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় কিশোরী জাকিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত জাকিয়া আক্তার একই গ্রামের বাসিন্দা সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের কন্যা। সে একই উপজেলার বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা ডিবি পুলিশের এএসআই আশরাফুজ্জামান।
তিনি জানান, ঘটনার পর সন্দেহ হিসেবে ৪৪জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নিহতের দাদীর কাছে পুলিশ জানতে পারে, সুমন জাকিয়াকে প্রায় উত্যক্ত করতো। গত ৬ জুলাই মঙ্গলবার রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে ডিবি পুলিশ কাহারোল উপজেলার পাহাড়পুর (বড় শাহাপাড়ার) মৃত জগদীশ চন্দ্র দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস (৩৩)কে আটক করে। পরদিন ৭ জুলাই সুমনকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে দিনাজপুর আমলী আদালত-৩ এর ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার ৪দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে শনিবার দিনাজপুর আমলী আদালত-৩ এর ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তারের নিকট নিজের অপরাধ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে ডিবি পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, নিহত জাকিয়াকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় প্রায় উত্যোক্ত করে আসছিল সুমন। ঘটনার দিন সকালে উপজেলার যতীনের বাজারের দুজনের দেখা হয়। সেখানে জাকিয়াকে সুমন কুপ্রস্তাব দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমনকে জুতা দিয়ে মারতে চায় জাকিয়া। এরই প্রতিশোধ নিতে দুপুর সাড়ে ৩টায় প্রাইভেট যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে জাকিয়ার পথরোধ করে এবং পাশ্ববর্তী পাটক্ষেতে নিয়ে যায় সুমন। সেখানে মুখ, হাত ও পা বেধে ধর্ষণ করে। এসময় জাকিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে সেই অবস্থায় ফেলে রেখে সুমন বাড়ী চলে যায়। পরে সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন জাকিয়াকে খোজাখুজি করতে থাকে। রাত ৩টায় সুমন ঘটনাস্থলের পাশের একজনের বাড়ী থেকে কোদাল এনে ঘটনাস্থলে গর্ত খুড়ে। কিন্তু মাটি চাপা দেয়ার আগে সুমন দেখতে পায় জাকিয়ার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। এসময় সুমন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গর্তে মাটিচাপা দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।