বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে কঠোর লকডাউন এর দ্বিতীয় দফা সময় বৃদ্ধি ও আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কারফিউ জারির পরামর্শের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গ- ঢাকামুখী বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় কোনোভাবেই থামছে না। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে রোববার ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই যাত্রীরা ঘাট হয়ে ফেরিতে নদীর স্রোতের মতো বাড়ি ফিরছেন। বিআইডাব্লিউটিসি পক্ষথেকে বন্ধ ঘোষণার পরও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটের ফেরিতে থামছে না যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপার। পুলিশের চেকপোস্ট,এড়িয়ে প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাস,মটরসাইকেল,ছোট ছোট যানে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পায়ে হেটে ঘাটে আসছে মানুষ। ঘাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আর কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।
বিআইডাব্লিউটিসি থেকে বন্ধের নির্দেশনার পরে রোববার (১১ জুলাই) সকাল থেকে শত শত যাত্রী ও যাত্রীবাহী গাড়ি মাওয়া শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে পদ্মা পার হতে দেখা গেছে । এতে ফেরিতে গাদাগাদিতে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি।
শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, আসন্ন ঈদুল আযহা ও দ্বিতীয় দফা লকডাউনের সময় বৃদ্ধিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে ঘাটে পৌঁছাচ্ছে। এরপর নির্দেশনা উপেক্ষা করে ফেরিতে নদী পার হচ্ছে তারা।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৬টি ফেরির মধ্য বর্তমানে ১০ ফেরি চালাচল করছে। যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। জরুরী প্রয়োজনে লাশবাহী এম্বুলেন্স পন্যবাহী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে ঢাকা থেকে সড়ক পথে পুলিশের চেকপোস্ট উপেক্ষা করে যাত্রীরা ঘাটে আসছে। তাদের ফেরিতে উঠা থামানো যাচ্ছে না। তাই এখন যেসব যাত্রীরা ঘাটে আসছে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য উৎসাহিত করা করা হচ্ছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান,ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ঘাটে এখন যানবাহন ও যাত্রীর চাপ নেই, দেড় শতাধিক পন্যবাহী গাড়ি ফেরি পারাপার অপেক্ষায় আছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসার ব্যপারে তিনি আরো জানান, ডিএমপি থেকে ৮টি চেকপোস্ট হয়ে শিমুলিয়া আসতে হয়। ব্যক্তিগত গাড়ি বলতে যারা অতি জরুরী প্রয়োজনে বাহির হয় যেমন লাশবাহী এম্বুলেন্সের সাথে আবার অনেকে বিদেশ থেকে আসা যাত্রী।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (বিআইডব্লিউটিসির) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ জুলাই থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। এ সময় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।