বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আজ রোববার (১১ জুলাই) সকাল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাটারিচালিত রিকশা আটকে দেয়া হয়েছে।
লকডাউনের ১১তম দিনে পুলিশের এই কড়াকাড়িতে অনেকটাই পাল্টে গেছে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম এই মহাসড়কের চিত্র।
ভুক্তভোগিরা জানান, মহাসড়কে রিকশা চলাচল এমনিতেই নিষেধ। লকডাউন শুরুর পর এই নিষেধাজ্ঞা কেউই মানে নি। বরং গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চালকদের পোয়াবরো হয়েছে। তারা দূরদূরান্তের যাত্রী উঠিয়ে মহাসড়ক দিয়ে ছুটে চলতো। এ কারণে ফাঁকা মহাসড়কেও গত ১০ দিনে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় দিকে গিয়ে যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগে এই পরিস্থিতি দেখা গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিধি-নিষেধের মধ্যে এই মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণে সম্প্রতি কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর দিকে যাওয়ার পাশে বিপুল সংখ্যক রিকশা আটকে দিয়েছে পুলিশ। এখানে কদমতলী থানার পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। অনেক রিকশা উল্টো করে রাখা হয়েছে।
রিকশা আসলেই পুলিশ কোনো কথা না শুনে যাত্রী নামিয়ে রিকশা উল্টে রাখছিলেন। এতে করে মূহুর্তের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় মহাসড়ক।
মহাসড়কের রায়েরবাগ অংশে দায়িত্ব পালন করছিলেন কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক মো. কাছেদ মুন্সী। তিনি বলেন, উপরের নির্দেশনা, ডিসি ওয়ারী বিভাগ থেকে নির্দেশনা এসেছে। কোনো রিকশা চলবে না। আমরা নির্দেশনা পালন করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, এই মহাসড়কে যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রচুর রিকশা চলাচল করছে। সেজন্য লকডাউনেও লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে। অনুমোদিত লোক ছাড়া আমরা রিকশা অ্যালাউ (অনুমোদন) করছি না। সেখানে আমরা রিকশা নিরুৎসাহিত করছি।
উপ-কমিশনার আরও বলেন, ওই হাইওয়েতে গত দু-তিন দিনে দু-তিনটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য আমরা হাইওয়েতে রিকশা সেভাবে অ্যালাউ করছি না, হাইওয়েতে রিকশা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। পাড়া-মহল্লা ও অলিগলিতে রিকশা চলতে পারবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ২১টি শর্ত দেয়া হয়। শর্ত অনুযায়ী, এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসররকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।