পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন শনাক্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যায় প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সবার মধ্যে টিকা নিতে আগ্রহ দেখা গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আর এরই ধারাবাহিকতায় টিকা নিবন্ধনে বেশ সাড়া পেড়েছে। এদিকে টিকা নিবন্ধনের চাপে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ কেন্দ্রের কোটা ইতিমধ্যে পূরণ হয়ে গেছে। আর তাই যে সব কেন্দ্রে ফাইজারের টিকার প্রয়োগ চলছে সেসব কেন্দ্র নতুন নিবন্ধন তালিকায় থাকছে না। বর্তমানে রাজধানীর সাতটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকার প্রয়োগ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
সূত্র মতে, দুই মাস বন্ধ থাকার পর দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের টিকা নিবন্ধনের শুরুতে প্রথম ৪ দিনে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছেন। দেশে গত ২৬ জানুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। পরে হঠাৎ টিকা অপ্রতুল হওয়ায় মে মাসের প্রথম সপ্তাহে নিবন্ধন বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই সময় পর্যন্ত ৭২ লাখের কিছু বেশি মানুষ টিকা নিতে নিবন্ধন করেন।
অন্যদিকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৫ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
প্রথম দফায় অগ্রাধিকার তালিকা ছাড়া ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা শুধু নিবন্ধন করতে পেরেছিলেন। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এবার সরকার টিকা দিতে সাধারণের বয়সসীমা ৩৫ এ নামিয়ে এনেছে। এর ফলে ৩৫ বয়সের বেশি সবাই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
মাঝের সময়টায় গণনিবন্ধন বন্ধ থাকলেও জুনে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় নিবন্ধন চালু করা হয়। কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার ও মর্ডানার এবং চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের প্রথম চালান এলে গত বুধবার দ্বিতীয় দফায় টিকা নিবন্ধন শুরু হয়।
এর মধ্যে বিশেষ অগ্রাধিকার হিসেব বয়সসীমার শর্ত শিথিল করে বিদেশগামী কর্মীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এ সংখ্যা দাড়ায় মোট ৮৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭১২জন নিবন্ধন করেছেন। অথচ গত মঙ্গলবার পর্যন্ত নিবন্ধনের সংখ্যা ছিল ৭২ লাখ ৯৩ হাজার ২৫৮ জন।
অধিদফতর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ২ লাখ ৪৮ হাজার ২৭ ডোজ টিকাদানের মধ্যে প্রথম ডোজ হিসেবে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫৮ লাখ ২০ হাজার ২৩টি, ফাইজার-বায়োএনটেকের ১৫ হাজার ৬৯৮টি এবং সিনোফার্মের ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫০টি ডোজ দেয়া হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত অক্সফোর্ডের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ৯৫ হাজার ৯১৪ জন।
এদিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫ জনে। এ পর্যস্ত ১৬ হাজার ১৮৯ জন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে। জুন থেকে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন দেশে প্রাধান্য বিস্তার করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পরিসংখ্যানে বলছে, দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় নতুন করে বাড়তে থাকা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। গত কয়েকদিন ধরে নতুন শনাক্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সবার মধ্যে টিকা নিতে আগ্রহ দেখা গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।