রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
স্থানীয়দের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রবাসী ও গ্রামবাসীদের নিজস্ব অর্থায়নে বেশ কয়েকবার মেরামত করা হলেও তদারকির অভাবে আজও চলাচল উপযোগী হয়ে ওঠেনি সড়কটি। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার খানাখন্দে পানি জমে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঘোড়াশাল জলিল সওদাগরের বাড়ি থেকে সোনাউল্লাহ হোসেন মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এই সড়কটি কয়েক হাজার লোকের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় রাস্তাটির দু’পাশ ভেঙে এমন বেহাল দশা হয়েছে, যেখানে একজন মানুষ যাওয়ার সময় অপর প্রান্তে মানুষটি দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ হয়ে এখন ডোবা আকৃতির হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রবাসী ও স্থানীয়দের অর্থায়নে গড়া রাস্তাটি যদি ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা পরিষদ তদারকিতে এগিয়ে আসতো তবে এই রাস্তাটির এমন করুণ দশা হতো না।
ঘোড়াশাল গ্রামের বাবুল মাস্টার বলেন, তিন কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে একটি বাজার ও চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্কুল চলাকালিন সময়ে এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী অনেক কষ্টে চলাচল করে। রাস্তাটি পাঁকা করা হলে শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারনের বহুদিনের ভোগান্তি লাগব হবে।
প্রবাসী কবির হোসেন বলেন, বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীদের কাজ থেকে চাঁদা তুলে রাস্তাটির মাটি ভরাটের কাজ করেছিলাম। মেরামতের অভাবে রাস্তাটির আজ বেহাল দশা।
ঘোড়াশাল বাজার ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে একশ’ বছরের পুরোনো বাজারটি আজ ধ্বংসের মুখে। মালামাল যাতায়তে মারাত্মক অসুবিধার কারনে অনেক ব্যবসায়ী দোকান ছেড়ে চলে গেছে। বর্তমানে উক্ত বাজারটিতে ক্রেতাদেরও তেমন আনাগোনা নেই। রাস্তাটি মেরামত করা হলে পুরোনো এ বাজারটি প্রাণ ফিরে পাবে।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, বাজারের পাশেই আব্দুল করিম উচ্চ বিদ্যালয় ও ঘোড়াশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একই রাস্তায় ঘোড়াশাল রকিব উদ্দিন আহম্মেদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত। করোনার কারণে স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় ও রাস্তার করুণ দশায় পুরোনো বাজারটি ক্রেতাহীন বাজারে পরিনত হয়েছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রায় ২ মাস পূর্বে একটি প্রাক্কলন তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।