Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারাদেশে ঘরে ঘরে রোগী

৭ বিভাগে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের (ভারতীয়) দাপট নমুনা পরীক্ষা না করায় ‘পজিটিভ’ ‘নেগেটিভ’ নিয়ে অন্ধকারে মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

সারাদেশে জ্বরব্যাধি বেড়ে গেছে। ঘরে ঘরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশের উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এমনো বাড়ি রয়েছে যে ৬ সদস্যের পরিবারের সবাই জ্বরে আক্রান্ত। জ্বরে আক্রান্ত এসব রোগীর করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। ফলে তাদের করোনা পজিটিভ না নেগেটিভ তা জানা যায়নি। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু প্রায় ১৮ কোটি জনসংখ্যার দেশে প্রতিদিন যে পরিমাণ মানুষের করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয় তাতে সকলের নমুনা পরীক্ষা করতে ১০ বছর লেগে যাবে।

মূলত গ্রামের মানুষের করোনার নমুনা পরীক্ষা এখনো শুরুই হয়নি। ফলে আক্রান্ত রোগীরা জ্বরের ওষুধ খাচ্ছেন। এর আগে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের বস্তিবাসীদের মধ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ঢাকায় ৭১ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের দেহে করোনার অ্যান্টিবডি রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, নির্দিষ্ট এই এলাকাগুলোতে কী পরিমাণ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সে সম্পর্কে একটা ধারণা মিলছে এই জরিপের ফলাফলে। আইসিডিডিআর’বি বস্তিগুলোতে সমীক্ষা চালিয়েছিল। কিন্তু গ্রামে এখনো করোনা নিয়ে কোনো নমুনা পরীক্ষা, গবেষণা কিছুই হয়নি।

এদিকে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে ৭টি বিভাগের করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির নমুনা থেকে জিনোম সিকোয়েন্সে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৭টি বিভাগে এখন পর্যন্ত ১৫০টি নমুনায় ভারতীয় ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট বি ১৬১৭ পাওয়া গেছে। ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণে জর্জরিত এখন পুরো বাংলাদেশ। গত ৯ দিনে মারা গেছেন ১৫০১ জন আর আক্রান্ত ও শনাক্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ২৭৫ জন। ইতোমধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, বর্তমান সংক্রমণে ভারতীয় ডেলটা ভ্যারিয়েন্টই বেশি।
জানতে চাইলে সরকারের পাবলিক হেলথ-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ভারতে যেরকম আচরণ করেছে, বাংলাদেশেও তা-ই করছে। মানুষকে অধিক হারে সংক্রমিত করছে। আবার অনেকেই সংক্রমিত হয়ে বাড়িতেই থাকছেন। সংক্রমিত হওয়ার পর বুঝতে পারছে না, হাসপাতালে আসতেও দেরি করে ফেলছেন, যার ফলে দ্রুত মৃত্যুর দিকে চলে যাচ্ছে। এখন আমাদের দেশের সর্বত্রই ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট আছে।

রংপুরের পীরগাছা মহিলা কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক আমিনউল্লাহ জানান, তার গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে ৪ থেকে ৫ জন জ্বরে আক্রান্ত। রাজশাহীর পদ্মার চরের আবদুল হাদি জানান, চরাঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতে সর্দি-জ্বরের রোগী রয়েছে। কুড়িগ্রামের একটি বীমা কোম্পানির প্রধান মশিউর রহমান জানান, শহরের ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বরের রোগী। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা জানান, গ্রামের ঘরে ঘরে রোগী। অধিকাংশই জ্বরে আক্রান্ত। কিন্তু করোনার নমুনা পরীক্ষা না থাকায় কেউ বুঝতে পারছেন না তাদের করোনা পজেটিভ না নেগেটিভ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১ জুলাই নতুন করে ৮ হাজার ৩০১ জনের শরীরে ডেলটা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এরপর ২ জুলাই ৮ হাজার ৪৮৩ জন, ৩ জুলাই ৬ হাজার ২১৪ জন, ৪ জুলাই ৮ হাজার ৬৬১ জন, ৫ জুলাই ৯ হাজার ৯৬৪ জন, ৬ জুলাই ১১ হাজার ৫২৫ জন, ৭ জুলাই ১১ হাজার ১৬২ জন, ৮ জুলাই ১১ হাজার ৬৫১ জন এবং গতকাল ৯ জুলাই ১১ হাজার ৩২৪ জন আক্রান্ত-শনাক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ গত ৯ দিনে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ২৭৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। তার আগের সপ্তাহে ৩৫ হাজার রোগী শনাক্ত হলেও পরে তা ৫৩ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার সঙ্গে মৃত্যু বেড়ে যায় ৪৬ শতাংশ। রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যাচ্ছে হাসপাতালে খালি বেড আর আইসিইউর সংখ্যা। তাছাড়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঢাকাসহ সারাদেশের ১৫ হাসপাতালে ভর্তি আছেন শয্যা সংখ্যার অতিরিক্ত রোগী।

জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, নওগাঁ, নোয়াখালী, পাবনা, রাজবাড়ী, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সিলেট, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনায় ভারতীয় ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই জেলাগুলো ময়মনসিংহ বিভাগ ছাড়া দেশের অন্য ৭টি বিভাগের অন্তর্গত।

গত ৩ ও ৪ জুলাই বাংলাদেশ শিল্প ও গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) জিআইএসএআইডিতে ১৭টি জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য আপলোড করেছে। সেখানে তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, নওগাঁতে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত নমুনা পাওয়া গেছে ১১টি, বাকিগুলো পাওয়া গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা এবং ঢাকায়।
এর আগে গত ১ জুলাই আইইডিসিআর ৩৬টি জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য আপলোড করে। সেটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৬টি ডেলটা ভ্যারিয়েন্টই পাওয়া গেছে সিলেট থেকে সংগ্রহ করা নমুনায়।

দেশে ভারতীয় ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট বি ১৬১৭-এর সামাজিক সংক্রমণের কথা আগেই জানিয়েছিল রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। গত ৩ জুন প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন পর্যায়ে জিনোম সিকোয়েন্স করে জানায়, সারাদেশে ৫০টি নমুনার মধ্যে ৪০টিতে ভারতীয় ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, যা শতকরা হিসাবে ৮০ শতাংশ।
চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গত ২৬ জুন আপলোড করা জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের প্রাপ্ত ৬টি ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে ৫টি ঢাকা বিভাগে এবং একটি কুষ্টিয়া জেলায়। ঢাকা বিভাগের মধ্যে আছে ঢাকা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলা।

২১ জুনে আপলোড করা আইসিডিডিআরবি’র জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য বলছে, তারা ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছে ৩৪টি নমুনায়। এর মধ্যে ১৬টি নমুনা ঢাকার। ঢাকার মোহাম্মদপুর, আজিমপুর, মাদারটেক, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, মধুবাগ ও মহাখালী এলাকার পাশাপাশি রাজবাড়ী এবং শরীয়তপুর আছে এই তালিকায়। তাছাড়া খুলনা, যশোর এবং রাজশাহীতে আছে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া জেলার মধ্যে। এ পর্যন্ত ঢাকায় পাওয়া ৩৭টি ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের তথ্য সেখানে জমা আছে। আর সারাদেশের আছে ৯৫টি ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের তথ্য।

সর্বশেষ গত ৪ জুলাই আইইডিসিআর জানায়, বাংলাদেশে গত এপ্রিলে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ভারতের ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের শনাক্তের হার বৃদ্ধি পেতে থাকে। দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট মে মাসে ৪৫ শতাংশ ও জুন মাসে ৭৮ শতাংশ নমুনায় শনাক্ত হয়। বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সুস্পষ্ট প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে।

আইইডিসিআর বলছে, বাংলাদেশে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিকোয়েন্স করা সব নমুনায় আলফা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। মার্চ মাসে সিকোয়েন্সকৃত মোট নমুনার ৮২ শতাংশ বিটা ভ্যারিয়েন্ট ও ১৭ শতাংশ আলফা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এপ্রিল মাসেও বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের মধ্যে বিটা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য ছিল।
আইইডিসিআর জানায়, কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষায় প্রাপ্ত ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কিত তথ্য জিনোম সিকোয়েন্সের বৈশ্বিক ডাটাবেজে জিআইএসএ আইডিতে জমা দেয়া হয়ে থাকে। যে ধরনের ভ্যারিয়েন্টই হোক না কেন, তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করাই একমাত্র উপায়। এর সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন নেয়া প্রয়োজন।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, সংক্রমণের উচ্চমুখী এই প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, জুলাইয়ে রোগী সংখ্যা এপ্রিল ও জুন মাসকে ছাড়িয়ে যাবে।



 

Show all comments
  • Amimul Ahsan ১০ জুলাই, ২০২১, ১:০৮ এএম says : 0
    Mask এর গুরুত্ব। social distance এর গুরুত্ব বুঝলো না এ জাতি।
    Total Reply(0) Reply
  • Farhana Hossain Niha ১০ জুলাই, ২০২১, ১:০৮ এএম says : 0
    আমাদের অসচেতনতার ফসল এটা, সংক্রমণ রোধে এখনই কারফিউ জারি করা উচিত কারণ মানুষ কঠোর লকডাউনকেও পাওা দিচ্ছে না
    Total Reply(0) Reply
  • Sarowar Sohel ১০ জুলাই, ২০২১, ১:০৮ এএম says : 0
    ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন.. আল্লাহ্ সহায়ক হোক সবার...
    Total Reply(0) Reply
  • Nasir Uddin Aslam ১০ জুলাই, ২০২১, ১:০৯ এএম says : 0
    অনেক লোক মারা যাচ্ছে করোনায়।কিন্তুু আসল কথা হলো এখন পযন্ত শুনা যায়নি কোন গার্মেন্টস শ্রমিক মারা যেতে। এইখানে সরকারের সাথকতা।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Hakim ১০ জুলাই, ২০২১, ১:০৯ এএম says : 0
    কোথাও অক্সিজেন অভাব, কোথাও আইসিইউর বেডের অভাব, কোথাও যন্ত্র পরিচালনা দক্ষ ব্যক্তির অভাব, লকডাউনে খেটে খাওয়া মানুষের খাদ্যের অভাব। সব কিছুতেই অব্যবস্থাপনা। তারপরও দায়িত্বশীলের ভাষ্য সবকিছু ঠিকটাক। যা আমাদের হতাশ করে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Zahangir ১০ জুলাই, ২০২১, ১:০৯ এএম says : 0
    গণহারে টিকা না দেয়া পর্যন্ত এর থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নেই ।
    Total Reply(0) Reply
  • Samiya Jannat Tabassum ১০ জুলাই, ২০২১, ১:১০ এএম says : 0
    আল্লাহতালা সবাইকে সুস্থ রাখুক আমাদেরকে ভাইরাস থেকে মুক্ত করুন
    Total Reply(0) Reply
  • অলোক গুপ্ত ১০ জুলাই, ২০২১, ১:১০ এএম says : 0
    পশ্চিমবঙ্গে আজ মাত্র ৫৭ জন মারা গেছেন। এপ্রিলে বাংলাদেশের মতোই অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু এখন অবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। আপনারা চিন্তা করবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১০ জুলাই, ২০২১, ১:৩৮ এএম says : 0
    আমাদের সব চায়তে বড় শিক্ষা হচ্ছে। কোন কিছুই থেকে শিক্ষা গ্রহণ করিনা। নিকটবর্তী ভারতের ভয়ংকর ভাইরাসের তীব্র আক্রমণ দৈনিক পাছলক্ষ আক্রান্ত হাজার হাজার মৃত্যুর মিছিল ছিল ভারতজুড়ে ঐ ডেল্টা ভ‍্যারিযেন্ট ভাইরাস এখন বাংলাদেশে। আমরা কি শিক্ষা গ্রহণ করেছি???কিছুই না।পরিণামে শিরোনাম সারাদেশে ঘরে ঘরে রোগী ভয়ানক তথ্য রিপোর্ট। হাজারো হাজার মৃত্যুর পরিস্থিতি সৃষ্টি আলামত হচ্ছে সরকার কারফিউ দিচ্ছে না কেন???? মৃত্যু অনিবার্য জেনেও অদৃশ্য ভাইরাসের আক্রমণের চুড়ান্ত সময় জেনেও রাষ্ট্রের ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা কঠোর বিধিব্যবস্থা সুপারিশ সত্বেও। এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় মানুষের জীবন মৃত্যু নিয়ে চরম অবহেলায় আজকের পরিস্থিতি। মহামারীর কঠিন সময়ে পবিত্র ইদুল আযহা পশু কোরবানীর হাট হাজারো মানুষের সমাগম হচ্ছে হবে অদৃশ্য ভাইরাস মৃত্যু আক্রান্তের কঠিন সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে। রাষ্ট্রের কি এখানো প্রযোজন মনে হচ্ছে কারফিউ দিতে অর্থনীতি কি শেষ হয়ে যাবে?? কঠোর চৌদ্দ দিনের কারফিউ দিলে???এই কারফিউর বিতরে হতদরিদ্র সাধারণ মানুষের জন্যে তিন বাহিনীর যৌথ মানবিকতার হাত সাহায্যের হাত বাড়াবেন বিত্তশালীদের ভদ্র ভাবে কঠোর ভাবে ফোনের মধ্য যোগাযোগ করুন। খাদ্য সামগ্রী খাওয়ার মানুষ পাবেন না। যদি শক্তিশালী সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় নিকটবর্তী ভারতের মত বাংলাদেশ কবরস্থানে পরিণত হবে। মতামতের কলামে গুরুত্ব ব‍্যাক্তিদের মতামত রাষ্ট্রের নীতি নিদ্রারকরা গুরুত্ব দিলে এবং বিজ্ঞ ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের মতামত গুরুত্ব দিলে।রাষ্ট্রের সমুহ যোদ্ধারা আইন শৃংখলা বাহিনী ডাক্তার নার্স সাংবাদিকতার পেশায় নিয়োজিত ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রন্ট লাইনের যোদ্ধাদের জীবন আগে বাচবে। আমরাই ঘরের শিতাতপ এসি কক্ষে আলোচনা সমালোচনা করতে পারী।বাস্তবতা হচ্ছে বড়ই কঠিন। এই মুহুর্তে নির্মোহ ভাবে মানুষের জীবন বাচানোর জন্যে সরকারের কঠোরভাবে প্রদক্ষেপজরুরী। এমনকি ফরজ।আল্লাহ রাষ্ট্রের সকল কে সুন্নত মোতাবেক যে যেখানেই আছ ঐখানে থাকির তৌফিক দাও। অদৃশ্য মৃত্যু পরোযানা ইতিমধ্যে পৃথিবীব‍্যাপী বাতাসে।যুক্তরাষ্ট্রের অত‍্যাধনিক সিকিউরিটি সিষ্টেম পেন্টাগনের লাডার সিষ্টেম লন্ডবন্ড করে দিয়েছে ক্ষুদ্র ভাইরাস হাজার হাজারো আর্মি আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছিল। অদৃশ্য ভাইরাস হতে বাচতে অবশ্যই আল্লাহর সাহায্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা জরুরী। আল্লাহ আমাদের দেশ ভয়াবহ মুসিবতে সমগ্রদেশ জাতি কে রক্ষা করুন। আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ