Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল

তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

উজানের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে দেশের নিম্নাঞ্চল। ভারতের গজলডোবা বাঁধ খুলে বাংলাদেশের দিকে পানি ছেড়ে দেয়ায় তিস্তায় পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে ডালিয়া পয়েন্টে। এতে করে বিস্তীর্ণ চর ও ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে ডেস্ক রিপোর্ট-
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম থেকে জানান, দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি কোথাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবার কোথাও স্থিতিশীল বা থমকে আছে। মূলত উত্তর-পূর্ব ভারতে অতিবৃষ্টিতে উজানে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অরুণাচল, সিকিম, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, নেপালসহ হিমালয় পাদদেশীয় অঞ্চলসমূহ থেকে আসা ঢলের কারণে নদ-নদীতে বাড়ছে পানি। তাছাড়া ভারত নিজেদের বন্যামুক্ত রাখতে অতীতের মতো এবারও উজানে সবক’টি বাঁধ, ব্যারেজ খুলে পানি ছেড়ে দিয়েছে ‘অকাতরে’। এরফলে ঢল-বানের পানি গড়াচ্ছে ভাটিতে বাংলাদেশের দিকেই।
গতকাল শুক্রবার সকালে উত্তর জনপদের তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়। ডালিয়ায় বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ সে.মি. পানি বেড়ে ৫২ দশমিক ৭০ মিটারে গিয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য পরে বিকাল নাগাদ পানি কিছুটা হ্রাস পেয়ে (১৭ সে.মি.) ফের বিপদসীমার কাছে মাত্র ৭ সে.মি. নিচে রয়েছে। তবে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার মাত্র ১৮ সে.মি. নিচে রয়েছে।
উজানে ভারতে গজলডোবা বাঁধ খুলে বাংলাদেশের দিকে পানি ছেড়ে দেয়ায় তিস্তা বিপদসীমা অতিক্রম করেছে (ডালিয়া পয়েন্টে)। এতে করে তিস্তা নদী সংলগ্ন আরও বিস্তীর্ণ চর-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ফল-ফসল, শাক-সবজি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। তিস্তার নিম্নাঞ্চল আগে থেকেই প্লাবিত হয়। উজানে ভারত গজলডোবা বাঁধের পানি ছেড়ে দেয়ার কারণেই তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকা ঘন ঘন বন্যা পরিস্থিতির মুখে পড়ছে।
রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতেত করে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় বসবাসরত ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পানি বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা জানান, তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। উজনের ঢলের পানির তোড়ে নীলফামারীর ডাউয়াবাড়ি এলাকায় ডানতীর প্রধান বাধ হুমকির মুখে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজের খালিশাচাপানী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২.৬০) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। সকাল ৯টায় ১০ সেন্টিমিটার পানি কমলেও নদীর চরগ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ সূত্র জানায়, উজানের ঢলে তিস্তায় বন্যা সৃষ্টি করেছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ডাউয়াবাড়ি এলাকার ডানতীর প্রধান বাধ হুমকির মুখে পড়েছে। বাধ রক্ষায় সেখানে বালির বস্তা, কাঠের ও বাঁশের পাইলিং করা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৯০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হলেও জেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু ফসলি জমি বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেছে।



 

Show all comments
  • Dadhack ১০ জুলাই, ২০২১, ১১:৫৯ এএম says : 0
    আল্লাহ ভারত ইবলিশ এর হাত থেকে আমাদেরকে বাঁচাও এবং যারা ভারতের শক্তিতে দেশ শাসন করে তাদেরকে আমাদের দেশ থেকে ভাসিয়ে দাও
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিস্তায় পানি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ