পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করেনা, লকডাউন বন্যা ও বৃষ্টির মতো ঠুনকো অজুহাতে চালের দাম কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে লকডাউনে বাজারে ক্রেতা কম আসা-যাওয়া ও কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে মুরগির দাম কেজি ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর রায়সাহেব বাজার, নয়াবাজারসহ বিভিন্ন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। এদিকে টিসিবির হিসাবও বলছে, গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে চার দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশজুড়ে করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে ১৪ দিনের ‘বিধি-নিষেধ’ বা ‘কঠোর লকডাউন’। নবম দিনের লকডাউনে কাঁচা-বাজারে বেশ প্রভাব পড়েছে। অথচ ক্রমেই কমে যাচ্ছে মানুষের আয়। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কমছে না, বরং বাড়ছে। গেল সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। বিশেষ করে গরিবের বা খেটে খাওয়া মানুষের মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা। এ ছাড়াও নতুন করে বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম।
এ ব্যাপারে চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। বাজারে এখন মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা, গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি। এখন পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা কেজি। বাজারে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৬৭ কেজি। নয়াবাজারের চাল বিক্রেতা মোবারক বলেন, বাজারে চাল সরবরাহ আগের মত বাড়ছে না। বিশেষ করে বন্যা, বৃষ্টি ও লকডাউন। তিনি বলেন, চালের দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। আগামীতে চালের দাম আরো বাড়তে পারে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম বাড়লেও কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ টাকা কেজি। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি এবং লাল লেয়ার মুরগি। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। আর ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। অবশ্য গরুর গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। আর খাসির গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
মুরগি বিক্রেতা রকিউল বলেন, লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতা কম আশায় মুরগির দাম কমেছে। সামনে কোরবানির ঈদের বাজার। ঈদবাজারে মুরগির দাম আবারো বাড়তে পারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। সবচেয়ে থেকে বেশি বেড়েছে গাজরের দাম। এক সপ্তাহ আগে কেজি ৮০ টাকা কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। একইভাবে ৮০ টাকা কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।
নয়াবাজারের সবজি ব্যবসায়ী জুলফিকার বলেন, বেগুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। ৫০ টাকা কেজির বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঝিঙে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। ৪০ থেকে ৫০ টাকার করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গার কেজি সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, ৬০ টাকার বরবটির দাম বেড়ে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৪০ টাকা। শসার দাম ৪০ টাকা। কাঁকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা।
এদিকে আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০-১৩০ টাকা, হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এ ছাড়াও প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকায়।
মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। রূপচাঁদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। চিংড়ি আগের মতো ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।