পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার বিস্তার রোধে চলছে ‘কঠোর লকডাউন’। লকডাউন ভেঙ্গে রাস্তায় নেমে আসছে উৎসুক মানুষ। তাদের গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করা হচ্ছে। ঢাকার ৩৩টি থানা থেকে গ্রেফতারকৃতদের একযোগে নেয়া হচ্ছে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানায়।
গ্রেফতারকৃত শত শত লোককে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে গারদখানায়। এ এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। ফলে গ্রেফতারকৃতদের মাঝেই করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনা হলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সসময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, আপনি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সুপ্রিম কোর্টে রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে কথা বলুন। কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে গ্রেফতারদের হাজিরা নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলুন।
এর আগে বিষয়টি হাইকোর্টের দৃষ্টিতে আনেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন। তিনি আদালতে বলেন, ‘লকডাউনে’ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর ৩৩টি থানা থেকে গ্রেফতার করে সবাইকে একযোগে আদালতের কয়েদখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গারদখানায় ৬০০ থেকে ৭০০ লোক একসঙ্গে ভিড় করছে।
সেখানে কোর্ট কাস্টডিতে একজনের সঙ্গে একজন লেগে, একজনের নিশ্বাসের সঙ্গে আরেকজনের নিশ্বাস মিশে একাকার হচ্ছে। একইভাবে তাদের রিসিভি কর এবং দেখার জন্য গারদখানার সামনে ভিড় করছেন তাদের আত্মীয়-স্বজন।
গারদখানার সামনে যে অবস্থা সেখানে দেখা গেছে, কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আদালতের কাছে প্রার্থনা করতে চাই, যাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের স্ব স্ব থানায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রডিউস করা যায় কি না। শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।