Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে পরিত্যক্ত ১২টি উড়োজাহাজ

বাজেয়াপ্ত করে নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজের বড় অংশ দখল করে রাখা ১২টি উড়োজাহাজ বাজেয়াপ্ত করে নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বছরের পর বছর পড়ে থাকা উড়োজাহাজগুলো কার্গো এলাকায় মালামাল তোলা ও নামানোর কাজে সমস্যা তৈরি করছে। জানা গেছে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি ও আভিয়ানার একটি করে উড়োজাহাজ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে।

এতে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকাটি কার্যত উড়োজাহাজের কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রæপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান জানান, এই এয়ারলাইনগুলো এক থেকে আট বছর ধরে চালু নেই। তিনি বলেন, ইউনাইটেড, রিজেন্ট এবং জিএমজির কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ক্যাব) বিভিন্ন ফি বাবদ ৭৫০ কোটি টাকা পাবে। আভিয়ানার কাছে পাওনা টাকার হিসাব করছেন কর্মকর্তারা। তিনি জানান, পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো সরিয়ে ফেললে কার্গো ভিলেজে আরও চার থেকে পাঁচটি কার্গো বিমানের জন্য জায়গা থাকবে। এতে আয় বাড়ত ক্যাবের। ইউনাইটেডের কাছে ১৯০ কোটি টাকা, জিএমজির কাছে ৩৬০ কোটি টাকা এবং রিজেন্টের কাছে ২০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে ক্যাবের। ক্যাবের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান জানান, ফি পরিশোধ করে উড়োজাহাজগুলো সরিয়ে নিতে ক্যাব বিভিন্নভাবে চিঠি দিলেও বিমান সংস্থাগুলোর সাড়া মেলেনি। এ কারণেই আমরা বিমানগুলো বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জানা গেছে, জিএমজি ২০১২ সালে তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকে তাদের এমডি-৮২ উড়োজাহাজটি কার্গো ভিলেজে পড়ে আছে। ইউনাইটেড এয়ার কোনো ঘোষণা ছাড়াই প্রথম ফ্লাইট চালুর ১০ বছর পর ২০১৬ সালে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমরা বকেয়া ফি সম্পর্কে সচেতন এবং বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি। রিজেন্ট এয়ার প্রথম চালু হয়েছিল ২০১০ সালে। মহামারির কারণে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ায় গতবছর তারা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এখন পর্যন্ত তাদের ফ্লাইট চালু হয়নি। এ ছাড়া আভিয়ানা ২০০৮ সালে ফ্লাইট চালু করার কয়েক বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ