পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এগিয়ে চলেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ। দৃশ্যমান হচ্ছে অবকাঠামো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ১৪ মাস পরে প্রায় ১১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এ প্রকল্পের। করোনাভাইরাস ও প্রকল্প এলাকায় মাটির নিচে বোমা উদ্ধারের প্রভাব পড়লেও থেমে যায়নি কাজ। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়েই অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ করছে জাপানের মিটসুবিশি, ফুজিতা ও কোরিয়ার স্যামসাং এই তিন কোম্পানির একটি কনসোর্টিয়াম। যার নাম এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম। নির্মাণ কাজে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার এবং বাকি টাকা অর্থায়ন করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)।
বেবিচক সূত্র জানায়, স¤প্রতি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তিনি টার্মিনাল নির্মাণের অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বর্ষার মৌসুম শুরু আগের আগেই মাটি কাটা ও ভরাটের কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে দ্রæতগতিতে। মাটি ভরাট শেষে ওপরের অংশের ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। মূল টার্মিনাল ভবনের পিলার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে।
সূত্র জানায়, নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্টরা করোনায় আক্রান্ত হলে দুশ্চিন্তা বাড়ে কাজের অগ্রগতি নিয়ে। পরবর্তীতে প্রকল্প এলাকায় নির্মাণ শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করে করোনা সংক্রমণ রোধ করে চলতে থাকে কার্যক্রম। তবে আবারও বাধা হয়ে সামনে আসে বোমা আতঙ্ক। প্রকল্প এলাকায় মাটি খুঁড়তে গিয়ে মিলে একাধিক বোমা। ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রথম বোমাটি পাওয়ার পর থেকেই সর্তকতার সঙ্গে করা হয় মাটি খোঁড়ার কাজ। আরও বোমা থাকার শঙ্কায় প্রকল্প এলাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সহায়তায় স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হয়।
কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ওভারঅল কাজ হয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। শুধু টার্মিনালের নির্মাণ কাজ হয়েছে প্রায় ৭ শতাংশের বেশি। এ প্রকল্পটি সরকারে অগ্রাধিকারের একটি প্রকল্প। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করে আমরা সচেষ্ট। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। কোনওভাবেই যেন কাজ বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিনে আমরা খেয়াল রাখছি।
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৪ বছর। থার্ড টার্মিনালের ভবন হবে তিন তলা। ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এই ভবনটির নকশা করেছেন স্থপতি রোহানি বাহারিন। তিনি এনওসিডি-জেভি জয়েন্ট বেঞ্চার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিপিজি করপোরেশন (প্রাইভেট) লিমিটেডের (সিঙ্গাপুর) স্থপতি। থার্ড টার্মিনালের বহির্গমনের জন্য ১৫টি সেলফ সার্ভিস (স্ব-সেবা) চেক ইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে। ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ মোট ৬৬টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে। আগমনীর ক্ষেত্রে ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট এবং ১৯টি চেক-ইন অ্যারাইভাল কাউন্টার থাকবে। টার্মিনালে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে। অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য ৪টি পৃথক বেল্ট স্থাপন করা হবে। তৃতীয় টার্মিনালে সঙ্গে বর্তমান টার্মিনাল ভবনগুলোর সঙ্গে প্রকল্পের প্রথম ধাপে কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে না। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তৃতীয় টার্মিনালে সঙ্গে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং বিল্ডিং ভবন নির্মাণ করা হবে, সেখানে ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।