Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৃথক ঘটনায় প্রাণ গেল তিনজনের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজনের। তাদের মধ্যে উত্তর মুগদার ঝিলপাড় এলাকার একটি একতলা ভবনের ছাদে খেলতে গিয়ে নিচে পড়ে সাদিয়া নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের বাবা স্বপন ভান্ডারী বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যার পরে আমার মেয়ে বাসায় ছাদে খেলতে যায়। পরে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে ওই দিন রাত পৌনে ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। সে স্থানীয় একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। তিনি আরও বলেন, আমরা উত্তর মুগদার ঝিলপাড় এলাকার ৬২/৩/এ-এর একটি একতলা বাসায় ভাড়া থাকি। আমার তিন মেয়ের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয়। আমাদের বাড়ি বরিশাল জেলার সদর থানার চরবাড়ীয়া এলাকায়।

এছাড়া হাতিরঝিলের চেয়ারম্যান গলি এলাকার একটি বাসায় তানিয়া আক্তার নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শাশুড়ি ইয়াসমিন বলেন, এক বছর আগে আমার ছেলে তৌহিদ প্রেম করে তানিয়াকে বিয়ে করে। বিয়ের সময় থেকে তৌহিদ চাকরি করত না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। গত সোমবার সকালে এসব বিষয় নিয়ে আবারও ঝগড়া হয়। পরে রাতে সে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে রাখে। অনেক ডাকাডাকির পরও না খুললে তৌহিদ এসে দরজা ভেঙে দেখে সে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। পরে আমি তানিয়াকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসি। তৌহিদ হাসপাতালে আসেনি। তিনি আরও জানান, বর্তমানে আমরা হাতিরঝিল চেয়ারম্যান গলির ৪৫৯ নম্বর বাসায় থাকি।

এদিকে আদাবরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন আলমগীর হোসেন নামে এক সিএনজিচালক। গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আলমগীর হোসেন নামে তার এক স্বজন জানান, গত ৩০ জুন বেলা সাড়ে ১২টার টার দিকে ঢাকা উদ্যান এলাকায় তিন দুর্বৃত্ত আলমগীরের সিএনজিতে উঠে তাকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতরাতে মারা যান তিনি। আলমগীরের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিং এলাকায় থাকতেন তিনি। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, গতকাল লাশগুলো ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ