পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সের আওতায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনের ১০ লাখ ডোজ ‘এ মাসেই’ আসছে। একই সঙ্গে রাশিয়ার আবিষ্কৃত টিকাও চলতি মাসেই বাংলাদেশ পাবে বলে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার চালান আসার কথা রয়েছে আগামী মাসে। আর তাই দেশে চলমান গণটিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভ্যাক্স আমাদের জানিয়েছে, জুলাই মাসে ১০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে। আর সেরাম ইনস্টিটিউটের স্থানীয় প্রতিনিধি আমাদের জানিয়েছে, আগস্ট মাস থেকে তারা টিকা দিতে থাকবে। তবে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কত ডোজ করে টিকা দেবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। প্রসঙ্গত, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। সেই টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়। কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রফতানি বন্ধ করে দিলে সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। কেনা টিকার বাইরে ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে ৩২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পেয়েছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে হাতে ছিল এ টিকার ১ কোটি ২ লাখ ডোজ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায়নি। এ পরিস্থিতিতে সরকার চীনা টিকা কেনার উদ্যোগ নিলেও যারা প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তাদের জন্য ওই টিকার বিকল্প নেই।
টিকা পেতে বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রস্তুত জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সবরকম প্রস্তুতি আমাদের শেষ হয়েছে। আশা করছি এই মাসের মধ্যেই একটা খবর হয়ত আমরা পেতে পারি। রাশিয়া কখন এবং কী পরিমাণ টিকা পাঠাবে, বাংলাদেশ সে অপেক্ষায় রয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আমরা অনেক দিন কাজ করেছি। খুঁটিনাটি কিছু বিষয় ছিল, সেগুলো আমাদের ভ্যাকসিন কমিটি আলোচনা করে শেষ করেছে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি তারা কখন এবং কী পরিমাণ টিকা দেবে। তারা যখনই জানাবে, আমরা তখনই আমাদের প্রক্রিয়া শুরু করে দেব।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার টিকা (স্পুটনিক-৫) বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়। সেদিন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছিলেন।
গত জানুয়ারির শেষের দিকে ব্রিটেনের তৈরি এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয় দেশে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে ওই টিকা দিয়ে শুরু হয় গণটিকাদান কার্যক্রম। কিন্তু ভারত চুক্তি অনুযায়ী সময় মতো বাংলাদেশকে টিকা না দেয়ায় এই কার্যক্রম বাধার মুখে পড়ে এবং ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
আর তাই সরকার নতুন করে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশ থেকে টিকা আনার ব্যাপারে চেষ্টা শুরু করে। ইতিমধ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের টিকা আসায় আবার শুরু হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচি। রাশিয়ার টিকা পেলে এই কর্মসূচি নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।