পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকায় জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আগের মত কঠোর হওয়ার কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, মানুষ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, তা নিশ্চিত করতে আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসবে। মাস্ক না পরলে-স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা করা হবে। এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে ইতোমধ্যে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, আমাদের সিদ্ধান্ত যেগুলো ছিল, সেগুলো যেন প্রয়োগ করে। অর্থাৎ মোবাইল কোর্ট করে যারা মাস্ক না পরে তাদেরকে জরিমানা করবে। নো মাস্ক-নো সার্ভিস কর্মসূচিকে আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গেস্ট কন্ট্রোল করবে। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকায় গত ১৯ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। এক পর্যায়ে তা ৩ শতাংশেরও নিচে নেমে আসে। এর মধ্যে সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদানও শুরু হয়।
এক বছরের বেশি সময় পর ৩০ মার্চ থেকে স্কুল ও কলেজ খোলার যে তারিখ সরকার ঠিক করেছে, ভাইরাসের সংক্রমণ এভাবে বাড়লে তা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বরে শিক্ষামন্ত্রী এর আগে জানিয়েছিলেন। গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রীও একই কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে। এটাকে (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত) রিভিউ করতে পারে। সংক্রমণ যদি বেড়ে যায়, তাহলে নিশ্চয় তারা হয়তো এটাকে রিভিউ করবেন। আর যদি করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে হয়ত তারা তাদের মত করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত কয়েক দিনে সংক্রমণ ও মৃত্যু যে হারে বাড়ছে তাতে ‘আতঙ্কিত না হলেও উদ্বিগ্ন’ জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে তিনি এ বিষয়ে কথাও বলেছেন। কথা বলে আমাদের কাছে যেটা মনে হয়েছে, লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। তারা সিলেট, কক্সবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কোনো মাস্ক পরছে না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না। আমরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগছি যে করোনাভাইরাস নাই। নো মাস্ক নো সার্ভিস কর্মসূচিকে অবহেলা করছি।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী ন‚র, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।