পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে গিয়েছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। বৈঠকে মন্ত্রী তাদের দাবিগুলো মেনে নেয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হেফাজতের আমির।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে আল্লামা বাবুনগরী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত কোনো কারণে নয়, জাতীয় স্বার্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা আলেম-উলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ এবং কওমি মাদরাসা খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছি।’
আল্লামা বাবুনগরী আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশা করছি সরকার দ্রুত আমাদের দাবি মেনে আলেম-উলামাদের মুক্তি দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে অসংখ্য নিরীহ আলেম-উলামাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বৈঠকে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। আমরা জানিয়েছি, হেফাজতের বিরুদ্ধে কথিত যে সহিংসতার অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। হেফাজতের কোনো নেতাকর্মী সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিছু দুষ্কৃতকারী হেফাজতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছে। তাদের খুঁজে বের করা দরকার।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আওয়াল, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী ও মাওলানা জহুরুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।