পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারকৃত আলেম-ওলামা, শিক্ষার্থী ও মুসল্লিদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আলেমগণ হচ্ছেন নবীদের উত্তরাধিকারী। তারা আল্লাহর দীনকে আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠার জন্য দিনরাত একাকার করে মানুষকে দ্বীনের পথে আহ্বান করেন। আলেমরা কোন অন্যায় অপরাধের সাথে জড়িত নন। তারা মাদরাসায় কোরআন-হাদিসের পাঠদানে মগ্ন থাকেন। মানুষের ঈমান-আকিদা বিশুদ্ধকরণে ওয়াজ-নসিহত করেন। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সর্বসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল প্রকার অরাজকতা থেকে মানুষকে বিরত রেখে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করেন। ডজন-ডজন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের কারারুদ্ধ করা হয়েছে। এমন আচরণ ইসলাম ও দেশের জন্য খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফার মধ্যে রাজনৈতিক বা ক্ষমতাকেন্দ্রিক কোনো উদ্দেশ্য নেই। এই ১৩ দফার আন্দোলনের সাথে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের কোন কর্মসূচিও নেই। এই আন্দোলন শুধুমাত্র দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ঈমান আকিদা সংরক্ষণ ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন। আমরা জানতে পেরেছি, গ্রেফতারকৃতদের থানা হেফাজতে শারীরিক ও মানসিকভাবে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। যার ফলে অনেক বন্দী পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের পরিবারকে কোন খাবার সরবরাহ করতেও দেয়া হচ্ছে না। এ তীব্র শীতেও প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র রাখার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। কারা আইনে একজন বন্দি সপ্তাহে একবার পরিবারের সাথে কথা বলার এবং সাক্ষাৎ লাভের অধিকার রাখে। কিন্তু তারা সেই অধিকার থেকে পরিপূর্ণ বঞ্চিত। আবার অনেককেই সেলে রেখে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত আলেমদের মধ্যে অনেকেই বয়োবৃদ্ধ ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। কিন্তু তাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা এবং ওষুধ সেবনেও বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। ফলে অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বন্দিদের সঙ্গে নির্বিচারে এমন নির্মম আচরণ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে অপরাধ এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমার প্রবল ধারণা প্রশাসনের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিক্যবাদীর এজেন্টরা সরকার এবং হেফাজতের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এবং দূরত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের হীন স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা দেশের জনপ্রিয় আলেম নেতৃবৃন্দকে আটকে রেখে তৌহিদী জনতার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে দেশে গণবিস্ফোরণ ঘটাতে চায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।