রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার জামির্ত্তা ও চান্দহর ইউনিয়নের সংযোগস্থলের বেলকপাড়া সেতুটি ভেঙে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ব্রিজের মধ্যস্থল ভেঙে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতি নিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। তব্ওু জীবনের তাগিদে নিরুপায় হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি ব্যবহার করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির মাঝখানে ঢালাই ভেঙে রড বেরিয়ে গেছে। কোনো ধরনের যানবাহনই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেনা। তবে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে দুই বা তিন চাকার যানবাহন ঠেলে পার হতে দেখা যায়। এতে যে কোনো সময় পুরো সেতু ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েক মাস ধরে সেতুটির এমন দশা। দেখার যেন কেউ নেই। সেতুটি দিয়ে জামির্ত্তা ও চান্দহর ইউনিয়নের শতশত যানবাহন ও সাধারণ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করতো। এখন দুই ইউনিয়নের প্রায় হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন ৫ কি.মি. রাস্তা ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে খরচ হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ ও সময়। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা সেতুটি মেরামত না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়াও এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
অটোরিকশাচালক কাবুল মিয়া জানান, জরুরি কাজ থাকায় ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা সেতু দিয়ে পার হলাম। চান্দহর বাজার থেকে এই সেতু দিয়ে পার হলে জামির্ত্তা বাজারে পৌঁছাতে সময় লাগে ১০ মিনিট। কিন্তু সেতুটির বিকল্প রাস্তায় গেলে ১০ মিনিটের রাস্তা সময় লাগে আধাঘণ্টা। তাই অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় অনেকেই জানান, এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ উপজেলা সদর ও ঢাকায় যাতায়াত করে থাকে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় অতিরিক্ত ৫ কি.মি. ঘুরে গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে হয়। অনেকে আবার ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
চান্দহর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল জানান, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রথম দিকে ভাঙা অংশে স্টিলের সিট দেয়া হয়েছে। এখন ভাঙা অংশ বড় হওয়ায় আবার যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আরো একটি স্টিলের সিট দিয়ে যানবাহন চলাচলে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবো। এছাড়া স্থায়ী সমাধানে জন্য সেতুটি ভেঙে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
সিঙ্গাইর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মাদ রুবাইয়াত জামান জানান, খুব দ্রুত সেতুটি ভেঙে ফেলে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।