পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চলমান বিধিনিষেধেও চালু রয়েছে পোশাক কারখানা। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির এই সময়ে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন শ্রমিকরা। এ অবস্থায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের টিকা প্রদানের দাবি বেশ কয়েকদিন ধরেই। একই সঙ্গে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থারও দাবি তাদের। তবে তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ বলছে, পোশাকশিল্পের শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতিবাচক আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলেও জানায় পোশাক শিল্পের এ সংগঠনটি।
শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, চলমান বিধিনিষেধে প্রায় সব শ্রম সেক্টর বন্ধ থাকলেও গার্মেন্টস সেক্টর চালু রেখেছে সরকার। মালিকদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ খাত চালু রাখার কথা বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না। কারখানার আশপাশে থাকা শ্রমিকরা পূর্বের মতো পায়ে হেঁটে কারখানায় আসলেও দূরে অবস্থান করা শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। স¤প্রতি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ডেল্টা) বিস্তৃতির ফলে সবচেয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। জরুরি ভিত্তিতে তাদের করোনা টিকা দেয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
বিজিএমইএ বলছে, শিল্পের সব শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিদেশিদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকেও ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়া গেছে। গত ১৬ জুন বিজিএমইএ সভাপতি ও পর্ষদ সদস্যরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেদিনই পোশাকশিল্পে করোনা টিকা সরবরাহ করা হবে মর্মে মন্ত্রী আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমরা পোশাক খাতের সব শ্রমিকের জন্য টিকা চেয়েছি। পাশাপাশি এ খাত সংশ্লিষ্ট বিদেশি বায়ারদের জন্যও টিকার কথা বলেছি। আমরা গত মাসে মৌখিকভাবে চেয়েছিলাম, কিন্তু সোমবার (৫ জুলাই) চিঠির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।