বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
দেড় বছর ধরে যখন সারা দেশে করোনা মহামারি চলছে। করোনা রোগীর প্রধান প্রতিরক্ষা যেখানে অক্সিজেন, সময় পেয়েও সেটা নিশ্চিত করতে না পারাটা সরকারের চরম ব্যর্থতা। আর এ ব্যর্থতার জন্য পুরো সরকারেরই পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
দলটির সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলো কী ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। ৩৬টি জেলায় আইসিইউ বডের কোন অস্তিত্ব¡ নেই। সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীর হাসপাতালগুলোর অবস্থা চরম খারাপ। বগুড়ায় ১২ ঘণ্টায় ৭ জন রোগী মারা গেছেন অক্সিজেনের অভাবে, ঠিক একইভাবে মারা গেছেন সাতক্ষীরায়। এটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী সরকারি অব্যবস্থাপনা।
তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে যখন সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে সরকার, তখন দেশের প্রত্যেক জেলা সদর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা ও হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা না থাকা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আব্বাসী ও সেলিম বিবৃতিতে বলেন, বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “যত টিকা লাগে কেনা হবে”। কিন্তু কোথা থেকে ক্রয় করা হবে, কবে নাগাদ ক্রয় করা হবে তার সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যাখ্যা সরকারের পক্ষ থেকে তিনি দেননি। যার ফলশ্রুতিতে টিকা নিয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জাতির জানা নেই।
তারা বলেন, করোনা মোকাবেলায় অতিমারির শুরু থেকে সরকারের রাখঢাক, সমন্বয়হীনতা, অতিকথন ও দুর্নীতি জনগণকে হতাশ করেছে, ক্ষুব্ধ করেছে। সরকার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। করোনা সংক্রমিত হবে না, কিন্তু হয়েছে। তারপর বলেছেন, সব চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। দেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার যে, সরকার তাদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।