Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টানা রেকর্ড মৃত্যু, ফের বাড়লো লকডাউন: সামাজিক মাধ্যমে যে প্রতিক্রিয়া

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২১, ৯:০৬ এএম

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি মানুষ ১৬৪ জন কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এরআগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা ছিল একটি নতুন রেকর্ড। দেশে গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

করোনায় টানা মৃত্যুর রেকর্ড নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই এ নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি নিয়ে ফেসবুকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়। এই সময়ে সারাদেশে নয় হাজার ৯৬৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের চলমান ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে রেকর্ড হচ্ছে।

কঠোর বিধি-নিষেধ বাড়িয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আগের সব বিধি-নিষেধ ৭ই জুলাই ২০২১ মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই ২০২১ মধ্যরাত পর্যন্ত কার্যকর হওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হল।

চলমান প্রেক্ষাপটে লকডাউন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে ফেসবুকে শুভন কুমার লিখেছেন, ‘‘শুধু কঠোর লকডাউন বললেতো হবে না। কার্যকর করতে হবে নইলে আজকে আবার ৭ দিন বাড়ানোর কথা বলা হলো, ৭ দিনপর আবার বাড়াইতে হবে। এইভাবে প্রায় দেড়বছর হলো আর কত? আমার মনেহয় বিশেষকরে গ্রামের হাটবাজার যেভাবে চলতেছে এই লকডাউনের কোন ফল আসবেনা (যেহেতু সনাক্তের বিবেচনায় গ্রামে ৫০%) তাই আমার মনে হয় ৭ দিন দেন আর ১৪ দিন দেন শহর,গ্রাম তথা সারা দেশব্যাপী কঠোর হওয়া উচিত আর নয়তো এই লকডাউন কোন কাজে দিবেনা।’’

মোঃ জিয়া উদ্দিন খান লিখেছেন. ‘‘লকডাউনের বিকল্প কিছু নাই। আমি মনে করি লকডাউন বেশ কিছুদিন দেওয়া উচিত,সেই সাথে কঠোর বিধিনিষেধ পালনে জোরদার ব্যবস্থা করা হোক।এই অবস্থা হওয়াটা অপ্রত্যাশিত নই;বরং হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ, লোকজন স্বাস্থ্যবিধি পালনে খাম-খেয়ালি ছিলো।’’

মৃত্যুর টানা রেকর্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাবেয়া আক্তার লিখেছেন, ‘‘সীমান্ত বর্তী জেলা ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে।কিছুদিন আগেও দেখা গেছে গঙ্গায় ভাসানো অজ্ঞাত মৃত দেহ।কুম্ভ মেলা তো...। করোনা সামাল দেওয়া বাংলাদেশর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।’’

লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওয়াসিম লিখেছেন, ‘‘কি মানবিকতার সাম্যের সমাজ আমাদের কঠোর লকডাউন ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ কিন্তু শিল্প কারখানা খোলা এ সিদ্ধান্ত যারা নেয় তাদের সুশিক্ষা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে তারা শুধুই জাতির বোঝা এ সিদ্ধান্ত হতাশাজনক অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চাই।’’

এস কে শুভর মন্তব্য, ‘‘লকডাউন এখন শুধু মাত্র খাতা কলমেই হয়ে গেছে। কঠোর লকডাউনের কঠোরতা মানুষের মৌলিক চাহিদার কাছে এখন গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। এভাবে সপ্তাহের পর সপ্তাহ লকডাউন দিলেতো সাধারণ জনগণ এটা মানবে না। নীতিনির্ধারকদের উচিৎ ছিল ধাপে ধাপে এটা চলমান রাখা। কিন্তু সরকার যেভাবে লকডাউনকে করোনা নিধনের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে তাতে করে সাধারণ জনগণের এই লকডাউনকে স্বাগত জানানোর কোন যুক্তিকতা আমি অন্তত খুঁজে পাইনা।’’

মোঃ শাহীন আলম লিখেছেন, ‘‘লকডাউন নামে এসব প্রহসন বন্ধ করা হোক একদিকে গণপরিবহন বন্ধ রেখে অন্যদিকে ব্যক্তিগত পরিবহন দিয়ে রাস্তায় জাম হচ্ছে অন্যদিকে শুধুমাত্র জেলা শহর কেন্দ্রিক মেইন রাস্তার আশেপাশে দোকান গুলো বন্ধ থাকছে তাছাড়া সবকিছুই চলছে শুধু মাঝখান থেকে কিছু মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।’’

আব্দুল আজিজ মনে করেন, ‘‘কঠোর লকডাই সাত দিন।সাত দিন পর ১,২ বিরোতি হলে ভালো হতো।তাতে যে সকল লোক ইমারজেন্সি কারণে দূর থেকে ঢাকা বা কোনো বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিল তারা ফিরে যেতে পারে।’’



 

Show all comments
  • Shanto ৬ জুলাই, ২০২১, ৯:৪৯ এএম says : 0
    অহংবাদ/ মিথ্যা / ভণ্ডামি / ধোকা /প্রতারণা/ বিভ্রান্তি / অমানবিকতা / ক্ষতিকারক / শয়তানবাদের সর্বোচ্চ অন্ধকার যুগে বর্তমান বিশ্বে আমরা অবস্থান করছে। তাই সাধারণ মানুষ সর্বোচ্চ সতর্কতা সাবধানতা অবলম্বন করুন! আপনার সাধারণ বোধগুলোকে সক্রিয় করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। গভীর তদন্ত না করে অন্ধভাবে কোনও কিছু গ্রহণ বা বিশ্বাস করবেন না। একটা কথা সব সময় স্মরণ রাখবেন আর তা হলো - সর্বোচ্চ শয়তানবাদের এই যুগে রক্ষকরাই ভক্ষক এর ভূমিকা পালন করছে, আপনার চারপাশে এর অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। সুতরাং বিশ্বাস একমাত্র শুধুমাত্র সত্যকে করা যায়। আর শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহ সমস্ত সত্তের উৎস। কিন্তু সাবধান ! শয়তান এবং এর অনুসরণ কারীরা নিজেদেরকে সত্যবাদী হিসেবে প্রকাশ করে অথচ এরাই সমস্ত ধরনের মিথ্যার উৎস! এরা বলে, কথিত ভাইরাস নাকি ভয়ঙ্কর! যার সত্যিকারের কোনো অস্তিত্ব নেই সেটি কে কেন্দ্র করে লকডাউন দিয়ে অসহায় দরিদ্র মানুষদের উপর লোভী স্বার্থপর শয়তানি ক্ষমতার অধিকারীরা নানাভাবে শোষণ নির্যাতন জুলুম করে তাদের বড় ক্ষতি করে চলছে। অথচ এরা কথিত ভাইরাস থেকে লক্ষ কোটি গুণ বিষাক্ত, এদের দ্বারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। যদি লকডাউন দিতে হয় তাহলে এই সকল বড় বড় মিথ্যুক ভন্ড প্রতারক জালেম শোষকদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হোক। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে কথিত ভাইরাসের নাম দিয়ে মানুষের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর যে কারণ বলা হচ্ছে তার আসল কারণ হচ্ছে বিষাক্ত খাদ্য বিষাক্ত পরিবেশ বিষাক্ত মোবাইল রেডিয়েশন বিষাক্ত মানসিক চাপ - যা শয়তান এবং এর অনুসরণকারীরা এই পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করেছে। মানুষের রূপ ধারী অমানুষ, যারা তাদের ভেতর শয়তানকে ধারণ করে শয়তানকে লালন করে, যারা নানাভাবে সাধারণ মানুষের সাথে মিথ্যা ধোকা প্রতারণা ভন্ডামি করে তাদের উপর নানাভাবে জুলুম শোষণ করে যাচ্ছে, সাধারণ মানুষকে নানাভাবে তাদের ক্রীতদাসে রূপান্তর করছে, তাদেরকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে নিজেদের জীবনকে বিষাক্ত অভিশপ্ত করবেন না। সদা সর্বদা সবসময় সত্যের পক্ষে থাকুন। আর এই পৃথিবীতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সত্য হচ্ছে মনুষত্ব,ন্যায় বিচার, কল্যাণ, মানবতা, শান্তি। অথচ আজ এই পৃথিবীতে সত্তিকারের মনুষ্যত্ব ন্যায় বিচার কল্যাণ মানবতা শান্তি নেই। এরা নানাভাবে সাধারণ মানুষদের মানব অধিকার, মানব স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতাকে নানাভাবে ধ্বংস করছে। বড় বড় মিথ্যুক ভন্ড প্রতারক ধোকাবাজ শোষক জালেম - মানুষের রূপ ধারী অমানুষরা আজ মুখে মুখে মনুষত্ব ন্যায় বিচার শান্তির কথা বলে, অথচ তারাই এই পৃথিবীতে তাদের নিজস্ব লোভ স্বার্থ শয়তানি ক্ষমতার জন্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নানাভাবে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আপনি যতই এদেরকে সহযোগিতা করবেন এরা ততোই শক্তিশালী হয়ে নানাভাবে আপনার উপর শোষণ-নির্যাতন করবে। সাধারন জনগন যদি এদের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড গুলোকে বন্ধ করতে বাধ্য না করে তাহলে কখনই তারা এ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখবে না। সুতরাং এদেরকে সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা বন্ধ করুন, না হলে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আপনি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ