পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি মানুষ ১৬৪ জন কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এরআগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা ছিল একটি নতুন রেকর্ড। দেশে গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
করোনায় টানা মৃত্যুর রেকর্ড নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই এ নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি নিয়ে ফেসবুকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়। এই সময়ে সারাদেশে নয় হাজার ৯৬৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের চলমান ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে রেকর্ড হচ্ছে।
কঠোর বিধি-নিষেধ বাড়িয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আগের সব বিধি-নিষেধ ৭ই জুলাই ২০২১ মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই ২০২১ মধ্যরাত পর্যন্ত কার্যকর হওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হল।
চলমান প্রেক্ষাপটে লকডাউন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে ফেসবুকে শুভন কুমার লিখেছেন, ‘‘শুধু কঠোর লকডাউন বললেতো হবে না। কার্যকর করতে হবে নইলে আজকে আবার ৭ দিন বাড়ানোর কথা বলা হলো, ৭ দিনপর আবার বাড়াইতে হবে। এইভাবে প্রায় দেড়বছর হলো আর কত? আমার মনেহয় বিশেষকরে গ্রামের হাটবাজার যেভাবে চলতেছে এই লকডাউনের কোন ফল আসবেনা (যেহেতু সনাক্তের বিবেচনায় গ্রামে ৫০%) তাই আমার মনে হয় ৭ দিন দেন আর ১৪ দিন দেন শহর,গ্রাম তথা সারা দেশব্যাপী কঠোর হওয়া উচিত আর নয়তো এই লকডাউন কোন কাজে দিবেনা।’’
মোঃ জিয়া উদ্দিন খান লিখেছেন. ‘‘লকডাউনের বিকল্প কিছু নাই। আমি মনে করি লকডাউন বেশ কিছুদিন দেওয়া উচিত,সেই সাথে কঠোর বিধিনিষেধ পালনে জোরদার ব্যবস্থা করা হোক।এই অবস্থা হওয়াটা অপ্রত্যাশিত নই;বরং হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ, লোকজন স্বাস্থ্যবিধি পালনে খাম-খেয়ালি ছিলো।’’
মৃত্যুর টানা রেকর্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাবেয়া আক্তার লিখেছেন, ‘‘সীমান্ত বর্তী জেলা ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে।কিছুদিন আগেও দেখা গেছে গঙ্গায় ভাসানো অজ্ঞাত মৃত দেহ।কুম্ভ মেলা তো...। করোনা সামাল দেওয়া বাংলাদেশর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।’’
লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওয়াসিম লিখেছেন, ‘‘কি মানবিকতার সাম্যের সমাজ আমাদের কঠোর লকডাউন ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ কিন্তু শিল্প কারখানা খোলা এ সিদ্ধান্ত যারা নেয় তাদের সুশিক্ষা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে তারা শুধুই জাতির বোঝা এ সিদ্ধান্ত হতাশাজনক অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চাই।’’
এস কে শুভর মন্তব্য, ‘‘লকডাউন এখন শুধু মাত্র খাতা কলমেই হয়ে গেছে। কঠোর লকডাউনের কঠোরতা মানুষের মৌলিক চাহিদার কাছে এখন গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। এভাবে সপ্তাহের পর সপ্তাহ লকডাউন দিলেতো সাধারণ জনগণ এটা মানবে না। নীতিনির্ধারকদের উচিৎ ছিল ধাপে ধাপে এটা চলমান রাখা। কিন্তু সরকার যেভাবে লকডাউনকে করোনা নিধনের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে তাতে করে সাধারণ জনগণের এই লকডাউনকে স্বাগত জানানোর কোন যুক্তিকতা আমি অন্তত খুঁজে পাইনা।’’
মোঃ শাহীন আলম লিখেছেন, ‘‘লকডাউন নামে এসব প্রহসন বন্ধ করা হোক একদিকে গণপরিবহন বন্ধ রেখে অন্যদিকে ব্যক্তিগত পরিবহন দিয়ে রাস্তায় জাম হচ্ছে অন্যদিকে শুধুমাত্র জেলা শহর কেন্দ্রিক মেইন রাস্তার আশেপাশে দোকান গুলো বন্ধ থাকছে তাছাড়া সবকিছুই চলছে শুধু মাঝখান থেকে কিছু মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।’’
আব্দুল আজিজ মনে করেন, ‘‘কঠোর লকডাই সাত দিন।সাত দিন পর ১,২ বিরোতি হলে ভালো হতো।তাতে যে সকল লোক ইমারজেন্সি কারণে দূর থেকে ঢাকা বা কোনো বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিল তারা ফিরে যেতে পারে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।