পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মডার্না এবং সিনোফার্মের টিকা দিয়ে দেশজুড়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। আর এজন্য বন্ধ থাকা নিবন্ধনও আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এবারের টিকাদান কর্মসূচিতে মডার্না এবং সিনোফার্ম টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটি। গতকাল সোমবার কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, গত রোববার আমাদের মিটিং হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে জানাচ্ছি। খুব শিগগিরই টিকার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু হলে নিবন্ধন করে টিকা নেওয়া যাবে।
ডা. শামসুল হক বলেন, কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা কোভ্যাক্স সুবিধায় পাওয়া মডার্নার টিকা দেওয়া হবে দেশের ১২ সিটি করপোরেশন এলাকায়, আর চীন থেকে কেনা সিনোফার্ম দেওয়া হবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে। তিনি জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু মাঝে কিছু দিন স্বল্পতার কারণে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে মডার্না ও সিনোফার্মের ৪৫ লাখ টিকা আমাদের হাতে এসেছে। এই টিকা দিয়ে আমরা আবার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছি।
আগেরবারের মতো আবারও উপজেলা পর্যন্ত ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে যাবো মন্তব্য করে ডা. শামসুল হক বলেন, হাতে এখন দুই ধরনের ভ্যাকসিন রয়েছে। দেশে কয়েক দিন আগে মডার্না এসেছে ২৫ লাখ এবং সিনোফার্মের এসেছে ২০ লাখ, সঙ্গে আগে এসেছে প্রায় ১১ লাখ ডোজ। সব মিলিয়ে বেশ কিছু টিকা এখন হাতে রয়েছে।
তিনি জানান, মডার্নার ভ্যাকিসন টেম্পারেচার সেনসিটিভ, মাইনাস ২০-তে রাখতে হয়, তাই এ টিকা দেওয়া হবে সিটি করপোরেশন এলাকায়। সিটি করপোরেশন এলাকার আওতায় থাকা সাধারণ মানুষ এই টিকার আওতায় আসবে। আর সিনোফার্মের ভ্যাকসিন রাখা যায় দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাই জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া একই জায়গায় যদি দুই ধরনের টিকাদান কর্মসূচি চলে তাহলে হয়তো কিছুটা সমস্যা তৈরি হতে পারে। সঙ্গে তাপমাত্রার একটা বিষয় তো রয়েছেই। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩৫ বছরের বেশি বয়সী সবাই নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারবেন জানিয়ে শামসুল হক বলেন, অগ্রাধিকার তালিকায় প্রথমে ১৮ ক্যাটাগরির মানুষে ছিলেন। এরপর সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী, প্রবাসী শ্রমিক, মেডিক্যাল-নার্সিং শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সিনোফার্মের দ্বিতীয় ধাপে। এবারে এ তালিকায় কৃষক, শ্রমিক এবং শিক্ষার্থী- এ তিন ক্যাটাগরির জনগোষ্ঠীর মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তাই তাদেরও এবার টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আর কৃষক, শ্রমিকদের তালিকার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে। তারা যে তালিকা দেবেন, সে তালিকা অনুযায়ী টিকা দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।